Abhishek Banerjee: ‘মুখে কথা বলে কাজ বেশি হয় না…’, ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট অভিষেকের

Abhishek Banerjee: কথা কম, কাজ বেশির বার্তা অভিষেকের। অভিষেকের কথায়, মুখে কথা বলে কাজ বেশি হয় না। মানুষের জীবন বদলে দেয় এমন কাজ করে দেখাতে হয়। সেবাশ্রয়ের সাফল্য নিয়ে এদিন সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন অভিষেক। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা।

Abhishek Banerjee: ‘মুখে কথা বলে কাজ বেশি হয় না…’, ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2025 | 11:08 PM

কলকাতা: ‘২০০ পাতার বই ১৫১ পাতা থেকে পড়া শুরু করলে, জানা বোঝার ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণতা থেকে যায়।’ সদ্য এই মর্মে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষকে। যা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব বেশ প্রকট হয়েছে। খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। তবে কী ওই পোস্টের হাত ধরে দলের পথচলা শুরুর পর মাঝপথে যাঁরা দলে যোগ দিয়ছেন তাঁদের খোঁচা দিতে চাইলেন কুণাল? যদিও এরইমধ্যে এবার আরও এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

কথা কম, কাজ বেশির বার্তা অভিষেকের। অভিষেকের কথায়, মুখে কথা বলে কাজ বেশি হয় না। মানুষের জীবন বদলে দেয় এমন কাজ করে দেখাতে হয়। সেবাশ্রয়ের সাফল্য নিয়ে এদিন সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন অভিষেক। সেখানেই অভিষেক লিখছেন, ‘প্রশাসন মানে শুধু কথার কথা নয়, প্রশাসন মানে জীবনে বদল আনা।’ এই পোস্ট নিয়েই এখন চলছে জোর চর্চা। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। 

সেবাশ্রয় কী তাহলে মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে? রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যখন বিরোধীদের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ সেখানে সেবাশ্রয়ের হাত ধরেই কী তাহলে গড়ে উঠছে বিকল্প স্বাস্থ্য ব্যবস্থা? নাকি ‘সমান্তরাল’ ব্যবস্থা? প্রশ্ন ঘিরে চাপানউতোর চলছে। পাশাপাশি অভিষেকের ‘প্রশাসনিক’ দায়িত্ব মনে করানো প্রসঙ্গেও খোঁচা ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। বিরোধীদের দাবি, অভিষেক তো বলছেন প্রশাসন মানে শুধু কথার কথা নয়, প্রশাসন মানে জীবনে বদল আনা। কিন্তু, সুশাসন দেওয়ার ভার কার উপর? 

খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “ঠাকুর বলছেন বেশি কথায় বেশি দোষ। ভেবেচিন্তে কথা কস। এখন যুবরাজও নাকি বলছেন কাজ বেশি কথা কম। কার জন্য বলছেন? যিনি নবান্নে বসে রোজ এক থেকে দেড় ঘণ্টার সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁর জন্য বলছেন?”