Four MLAs take oath: রাজ্যপালকে ‘বাইপাস’, নতুন ৪ বিধায়ককেও শপথ পাঠ করালেন স্পিকার
Four MLAs take oath: সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথ ঘিরে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার চার নবনির্বাচিত বিধায়ককে বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন দশেক আগে রাজ্যের চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। বাগদা, রাণাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা ও রায়গঞ্জ-এই চারটি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
কলকাতা: রাজভবন থেকে বিধানসভার দূরত্ব বেশি নয়। কিন্তু, রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার ‘দূরত্ব’ বেড়েই চলেছে। বরাহনগর ও ভগবানগোলার বিধায়কের শপথ নিয়ে এমনিতেই চোরাস্রোত বইছে। এবার রাজ্যপালকে বাইপাস করেই নবনির্বাচিত চার বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার চার বিধায়ককে বিধানসভার অধিবেশনে ডেকে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অসাংবিধানিক জানিয়ে সেইসময় অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। শাসকদলের অবশ্য যুক্তি, নিয়ম মেনেই চার বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন স্পিকার।
কয়েকদিন আগে বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। প্রায় একমাস ধরে তাঁদের শপথ নিয়ে টানাপোড়েনের পর ডেপুটি স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্পিকারের উপস্থিতিতে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারবেন না। তারপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান। গতকালই দুই বিধায়ককে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সঠিকভাবে শপথ না নিয়ে যদি তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেন, তা হলে সংবিধান অনুসারে প্রতি দিন ৫০০ টাকা করে জরিমান হতে পারে দুই বিধায়কের।
সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথ ঘিরে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই এদিন চার নবনির্বাচিত বিধায়ককে বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। দিন দশেক আগে রাজ্যের চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। বাগদা, রাণাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা ও রায়গঞ্জ-এই চারটি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাগদায় জয়ী হয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। তিনি বিধানসভার সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক। রাণাঘাট দক্ষিণে জয়ী হয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে এই কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। মানিকতলায় জয়ী হয়েছেন সুপ্তি পাণ্ডে। আর রায়গঞ্জে জয়ী হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। মুকুটমণির মতো একুশের নির্বাচনে তিনিও বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন।
এদিন চার বিধায়ককে বিধানসভায় ডেকে নেন স্পিকার। তারপর শুরু হয় শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রথমে শপথ নেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তারপর শপথ নেন মুকুটমণি ও মধুপর্ণা। সবশেষে শপথ নেন সুপ্তি পাণ্ডে। কৃষ্ণ কল্যাণী বাংলায় শপথ নেন। বাকি তিনজন ইংরেজিতে শপথ নেন। হরিচাঁদ-গুরুচাদ ঠাকুরের নামে শপথ নেন মুকুটমণি ও মধুপর্ণা। এমনকি শপথের সময় জয় বাংলা, জয় বাগদা বলেন বিধানসভার কনিষ্ঠতম বিধায়ক।
এদিন শপথের সময় বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা। শপথ অসাংবিধানিক বলে তাঁদের অভিযোগ। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে দিলেন। বললেন, রাজ্যপালকে জানানো হয়েছিল। বিধানসভার রুল অনুযায়ী শপথ হয়েছে। রেয়াত ও সায়ন্তিকার শপথ নিয়েও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। রেয়াত ও সায়ন্তিকার শপথ নিয়ে টানাপোড়েনের পর চার বিধায়কের শপথের জল কতদূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।