AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাসপাতালে চাপ বাড়ছে, পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হবে ‘আইসোলেশন সেন্টার’

ঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় মৃত্যু হচ্ছে অনেক করোনা (COVID 19) আক্রান্ত রোগীর। এদিকে বেড বাড়ালেও হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স।

হাসপাতালে চাপ বাড়ছে, পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হবে 'আইসোলেশন সেন্টার'
থাকবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা
| Updated on: May 04, 2021 | 4:56 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যে প্রত্যেকদিন গড়ে প্রায় ১৭ হাজার নতুন করোনা (COVID 19) আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। মৃতের সংখ্যাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর মৃত্যুর অনেক ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরি হওয়াই হয়ে উঠছে মৃত্যুর কারণ। গত কয়েকদিন রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের (Ambulance) লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। বেড না পেয়েই শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীকেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সেই। এই অবস্থা সামাল দিতে এবার পাড়ায় পাড়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ড (Isolation ward) তৈরির সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)।

সোমবার রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, সিএমএইচও ও রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে কত বেড প্রয়োজন? তা নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব। কিন্তু আলোচনায় উঠে আসে আরও সমস্যার কথা। হাসপাতালে বেড বাড়ানো হলেও চিকিৎসক, নার্সের সংখ্যায় টান পড়ে যাবে। আর সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এবার পাড়ায় পাড়ায় আইসোলেশন বিভাগ তৈরি করার নির্দেশিকা দিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজন হলে সেখানে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়াও সম্ভব হবে।

করোনা আক্রান্তদের বেশির ভাগই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু আচমকা অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেই বাড়ছে বিপদ। তখন কহাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে। বাড়িতে সরাসরি কোনও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না, তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধা্ন্ত নিতেও দেরি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রোগীর প্রাণের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই এরকম ছোট ছোট আইসোলেশন ওয়ার্ড মৃত্যুর হার কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নাহ! ভ্যাকসিন নয়, নেবেন কেবল টোকেন, মধ্য রাত থেকেই বৃষ্টি মাথায় হাসপাতালে লাইন

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ওয়ার্ডগুলিতে থাকবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, থাকবেন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স। প্রয়োজনে কয়েকজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবককেও রাখার কথা ভাবা হয়েছে। আর এই ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে হাসপাতালের সংযোগ থাকবে। ফলে, রোগীর সমস্যা বুঝলে দ্রুত তাঁকে স্থানান্তরিত করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

এছাড়া, পুরসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনও এলাকায় দেহ পড়ে থাকলে চিকিৎসকদের সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কোভিড রিপোর্ট না এলেও তুলে আনা হবে দেহ। পুরসভা প্রতি ওয়ার্ডে গাড়ি রাখবে। সেই দেহ গুলি তুলে পিস হ্যাভেন রাখা হবে। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এলে পিস হাভেন থেকে বিধি মেনে দাহ করা হবে। আর রিপোর্ট নেগেটিভ হলে পিস হেভেন থেকে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।