শাহের ঠিকানা মুরলীধর সেন লেন! ‘ভুল’ ঠিকানার জেরে অভিষেকের মানহানি মামলা নিম্ন আদালতে

সোমবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) করা সেই মামলার ভিত্তিতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিকানা ভুল হওয়ায় সেই মামলা সরল নিম্ন আদালতে।

শাহের ঠিকানা মুরলীধর সেন লেন! 'ভুল' ঠিকানার জেরে অভিষেকের মানহানি মামলা নিম্ন আদালতে
অমিত শাহর সভার পাল্টা সভা অভিষেকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 22, 2021 | 5:20 PM

কলকাতা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ( (Abhishek Banerjee)। সেই মামলার ভিত্তিতে আজ, সোমবার বিধাননগরের বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু এ দিনের শুনানিতে জানা গিয়েছে, অভিষেকের করা সেই মামলায় অমিত শাহের (Amit Shah) ঠিকানাই ভুল।

বিধাননগরের সাংসদ-বিধায়কদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে এ দিন ছিল সেই মামলার শুনানি। এ দিন সকাল ১০ টায় এই আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু শুনানিতে অমিত শাহের পক্ষের আইনজীবী জানান, যে ঠিকানায় ওই মামলার নোটিস গিয়েছে, সেই ঠিকানায় অমিত শাহ থাকেন না। ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন উল্লেখ করেন আইনজীবী।

সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানান, নতুন ঠিকানা জুড়ে ফের পাঠানো হবে নোটিস। যেহেতু মূল মামলাটি হয়েছিল ব্যাংকশাল কোর্টে তাই এ দিন ঠিকানা ভুল হওয়ার জেরে ফের সেই মামলা নিম্ন আদালতে পাঠানো হল। অমিত শাহের আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলায় অমিত শাহের ঠিকানা বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আসলে কলকাতার বিজেপি অফিসের ঠিকানা। মামলা হওয়ার সময় বিজেপি অফিসের ঠিকানা ছিল ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন। সেখানে অমিত শাহ থাকেন না। তাই এবার অমিত শাহের দিল্লির ও গুজরাতের ঠিকানা জুড়ে দেবেন অভিষেকের আইনজীবী।

২০১৮-র ১১ অগস্ট কলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপি-র একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন অমিত শাহ। আর সেখানেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সম্পর্কে বেশ কিছু মন্তব্য করা হয়, যাতে তাঁর মক্কেলের সম্মানহানি হয় বলে জানান অভিষেকের আইনজীবী। এরপরই অমিত শাহের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন সাংসদ।

আরও পড়ুন: নতুন থানা পাচ্ছে কলকাতা, দু’ভাগে ভাঙছে যাদবপুর

অমিত শাহ তাঁর ভাষণে অভিষেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। সঞ্জয় জানিয়েছিলেন, শাহের সেই বক্তব্য দেশের সর্বত্র সংবামাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতেই সম্মানহানি হয় বলে দাবি করেন অভিষেক। ২০১৮-র ২৮ অগস্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিযোগ মামলা করেন অভিষেক।