‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি হলেও চূড়ান্ত নয়, সংশ্লিষ্ট আমলার ইচ্ছাও গুরুত্বপূর্ণ’, মুখ্যসচিবের হাতে সময় ২ দিন

এখনও পর্যন্ত সরাসরি সংঘাতের পথে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সরকারের কাছে প্রাথমিক ভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (IAS Alapan Bandyopadhyay) বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

'কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি হলেও চূড়ান্ত নয়, সংশ্লিষ্ট আমলার ইচ্ছাও গুরুত্বপূর্ণ', মুখ্যসচিবের হাতে সময় ২ দিন
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2021 | 8:20 AM

কলকাতা: এখনও পর্যন্ত সরাসরি সংঘাতের পথে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সরকারের কাছে প্রাথমিক ভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (IAS Alapan Bandyopadhyay) বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এখন দেখার, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় সরকার ওই বদলির নির্দেশ প্রত্য়াহার করে কি না। হাতে সময় ২৪ ঘণ্টা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ঝড় বৈঠকে থাকেননি মমতা। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে ওঠে। সেই রাতেই আসে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ। ক্ষোভের পারদ আরও চড়ল। শনিবার দুপুরে হল তার বহিঃপ্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রীকে অপেক্ষায় রাখা, বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া, অসহযোগিতা- বিজেপি শিবিরের যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করতেই সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি প্রশ্ন তুললেন বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে। অবসরের দিনই কি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুরোধ করলেন, চিঠি প্রত্যাহার করুক রাজ্য।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কোন আইনে তাঁকে ডেকে পাঠানো হল! স্বাধীনতার পর ৭৪ বছরে দেশে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি!’’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস রুলস ১৯৫৪। ঠিক এই বিধিকে কাজে লাগিয়েই আমলাদের বদলি করা হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির ক্ষেত্রেও এই বিধির ৬/ ১ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিয়েই সংঘাত বেঁধেছে কেন্দ্র-রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপনকে ছাড়তে রাজি নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য। আগামী সোমবার দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে।

তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা আছে আধিকারিককে তলব করার। কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমলার ইচ্ছারও গুরুত্ব আছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে দিল্লি আনা সহজ নয়। রাজ্য আমলাকে ছাড়তে চাইছে কিনা, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। হাতে আর দিন দুয়েক সময়। এখন দেখার, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় সরকার ওই বদলির নির্দেশ প্রত্য়াহার করে কি না।