JU: যাদবপুরের হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারেরও ভাবনাচিন্তা, ঘুরে দেখল ইসরোর দল
JU: বারবারই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, মাথায় রাখতে হবে যাদবপুর একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই অন্যান্য কোনও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার সঙ্গে এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলা যাবে না।
কলকাতা: ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন ইসরো প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশকে আলাদা ‘জ়োন’ হিসাবে ভাগ করে পরিদর্শন করে তারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা। মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই (RFDI)কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জ়োন ঘুরে দেখছে ইসরোর দল। এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও জানানো হবে, তারা কী ধরনের নিরাপত্তা চাইছে। এদিন ইসরোর টিমের সঙ্গে ছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য, সহ উপচার্যও।
বারবারই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, মাথায় রাখতে হবে যাদবপুর একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই অন্যান্য কোনও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার সঙ্গে এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলা যাবে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইসরোর প্রতিনিধিরা দেখেছেন কোন জ়োন বেশি সুরক্ষিত, কোন জ়োন তুলনামূলক কম সুরক্ষিত। সেইমতোই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন জ়োনগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “এটা সময়সাপেক্ষ। কারণ এটা একটা রিসার্চ প্রজেক্ট। তার কতগুলো ধাপ আছে। এখানে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণের ব্যাপারও রয়েছে। স্পট ভেরিফিকেশন হয়ে গিয়েছে। যেহেতু এটা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাই এখানে বেশ কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে। সেগুলো দেখে পর পর ধাপ মেনে এগোনো হবে। ইসরোর কাছ থেকে আমরা যে সাপোর্ট চাইছি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ইসরোকে জানানো হবে। আপাতত রিকোয়ারমেন্ট অ্যানালিসিস হবে।”
এদিন মূলত ইসরোর প্রতিনিধিরা খতিয়ে দেখেন —
১. হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি লাগানো সম্ভব কিনা খতিয়ে দেখা
২. হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের ডেটাবেস তৈরির জন্য ক্লাউড তৈরি
৩. ফেসিয়াল রেকগনিশনের মাধ্যমে বাইরের কাউকে শনাক্ত করা
৪. ক্যাম্পাসের গেটে এআই ব্যবহারের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা
৫. ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিংয়ের পরিবেশ আছে কিনা খতিয়ে দেখা।
পরিকল্পনা জমা পড়বে ইসরোর অফিসে। বুধবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাবে ইসরো।