Jaldapara: জলদাপাড়ায় নিজেদের প্রাণ নিজেরাই বাঁচাচ্ছে গাছেরা
Jaldapara National Park: এ প্রসঙ্গে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পরভীন কাশোয়ান বলেন,"সাধারণত আমরা মাটিতে গাছ লাগাই। কিন্তু এবার আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। এই ধরনের উদ্ভিদকে বলা হয় জিনাস ফিকাস। এই সবগাছ যেমন ফিকাস বেংহালেনসিস (বট), ফিকাস রিলিজিওসা (অশ্বথ), ফিকাস রেসেমোসা (ডুমুর), ফিকাস রম্ফি (পাঁকুড়) ইত্যাদি মাটিতে রোপণ করতাম।
আলিপুরদুয়ার: গাছের উপর গাছ। ট্রি টপ প্ল্যানটেশন। এবার এই উদ্যোগই নিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় অভয়ারণ্য। কারণ, বনদফতরের কর্তারা দেখেছেন ডুমুর, বট, অশ্বত্থর মতো গাছগুলি বেড়ে উঠতে পারছে না। তাদের খেয়ে ফেলছে তৃণভোজী প্রাণিরা। ফলে ক্রমশ কমছে এই সকল গাছগুলির সংখ্যা। সেই কারণে পাখি ও খাদ্য ভাণ্ডার থেকে গাছগুলিকে রক্ষা করতে ট্রি টপ প্ল্যানটেশন নিয়েছে জলদা পাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে এই গাছগুলির চারা মাটিতে না পুঁতে গাছের চারা বসানো হবে উঁচু গাছের উপর।
এ প্রসঙ্গে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পরভীন কাশোয়ান বলেন,”সাধারণত আমরা মাটিতে গাছ লাগাই। কিন্তু এবার আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। এই ধরনের উদ্ভিদকে বলা হয় জিনাস ফিকাস। এই সবগাছ যেমন ফিকাস বেংহালেনসিস (বট), ফিকাস রিলিজিওসা (অশ্বথ), ফিকাস রেসেমোসা (ডুমুর), ফিকাস রম্ফি (পাঁকুড়) ইত্যাদি মাটিতে রোপণ করতাম। কিন্তু তাতে ফিকাস প্রজাতির উদ্ভিদের বৃদ্ধি হচ্ছে না। তাই এই উদ্যোগ।”
ওই আধিকারিক এও জানিয়েছেন, ফল দিতে অক্ষম এমন উঁচু গাছ নির্বাচন করে গাছের চারাগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। চারাগুলি যাতে মরে না যায় তার জন্য বর্ষাকালে এগুলো রোপণ করা হয়। সম্প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে গাছের কোলে বসানো হয়েছে একশোটি গাছের চারা। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, গাছের কোলে দিব্যি বড় হতে শুরু করেছে। তাই এবার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।