Kalpataru Utsav: কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্তশূন্যভাবেই পালিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব
Kalpataru Utsav: নিয়ম ও আচার মেনে কল্পতরু উত্সব পালিত হচ্ছে গতবারের মতো এই বছরেও।
কলকাতা: কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ। গত বছরেও দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ছিল। কিন্তু নিয়ম ও আচার মেনে কল্পতরু উত্সব পালিত হচ্ছে গতবারের মতো এই বছরেও।
রামকৃষ্ণ দেব জীবনের শেষ দিনগুলি পালন করেছিলেন এই কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল্পতরু উৎসব পালিত হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট কথিত আছে, এই দিনই এখানে তিনি তাঁর অনুগামী নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কী মনে হয়, আমি কে?” গিরিশচন্দ্র বলেছিলেন, “তিনি বিশ্বাস করেন যে রামকৃষ্ণ পরমহংস মানবকল্যাণের জন্য মর্ত্যে অবতীর্ণ ঈশ্বরের অবতার।” রামকৃষ্ণ পরমহংস বলেন, “আমি আর কী বলব? তোমাদের চৈতন্য হোক।”
রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যতম শিষ্য রামচন্দ্র দত্ত ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, সেই দিন রামকৃষ্ণ পরমহংস হিন্দু পুরাণে বর্ণিত কল্পতরুতে পরিণত হয়েছিলেন। তিনিই এই দিনটিকে কল্পতরু দিবস নাম দিয়েছিলেন, যা পরে কল্পতরু উৎসব নামে পরিণত হয়েছিল।
করোনা আবহে গত বছর থেকে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ রয়েছে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে। কিন্তু রীতি মেনেই চলছে সব কিছু। আজ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। করোনা আবহে অনলাইনে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১ ও ২ জানুয়ারি সারদা মায়ের বাড়িতে দর্শন ও প্রণাম বন্ধ থাকবে। ৩ জানুয়ারি থেকে ভক্তরা ফের ঢুকতে পারবেন মায়ের বাড়িতে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টা ও দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত ভক্তরা সারদা মায়ের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন। এবারও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তশূন্যভাবেই হচ্ছে কল্পতরু উৎসব। কালীঘাট মন্দিরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, আলিপুর আদালতের নির্দেশ মেনে ভক্তদের জন্য ১ জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র পুরোহিত, সেবাইতরা প্রবেশ করতে পারবেন।