Kalyani: ডিএ মঞ্চে নাটকের মাশুল? দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত নাটকের উৎসবই বাতিল পুরসভার
Kalyani: এদিকে চাকদহ নাট্যজনের নাটক উৎসবে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশিত ৬টি নাটক দেখানোর কথা রয়েছে। চাকদহ নাট্যজনের সম্পাদক সুমন পাল বৃহস্পতিবারই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, 'আজকের দিনটা চাকদহ নাট্যজনের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ আমাদের জগাখিচুড়ি নাটকের অভিনয় করতে পেরেছি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে।
কলকাতা: দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত নাট্য উৎসব বাতিলে শুরু বিতর্ক। বৃহস্পতিবারই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে চাকদহ নাট্যজনের জগাখিচুড়ি নাটক প্রদর্শিত হয়। এদিকে বৃহস্পতিবারই কল্যাণী পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয় চাকদহ নাট্যজনকে। জানানো হয়, কল্যাণী ঋত্বিক সদন প্রেক্ষাগৃহ সংরক্ষণ বাতিল করা হচ্ছে। আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এখানেই চাকদহ নাট্যজনের নাট্য উৎসব হওয়ার কথা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিনগুলিতে সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। সে কারণেই এই নাট্য উৎসব বাতিল করা হল।
এদিকে চাকদহ নাট্যজনের নাটক উৎসবে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশিত ৬টি নাটক দেখানোর কথা রয়েছে। চাকদহ নাট্যজনের সম্পাদক সুমন পাল বৃহস্পতিবারই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, ‘আজকের দিনটা চাকদহ নাট্যজনের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ আমাদের জগাখিচুড়ি নাটকের অভিনয় করতে পেরেছি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে। ওখানে গিয়ে আমাদের অভিনয় করতে পেরেছি, আমরা সত্যিই অভিভূত। এত মানুষ রাতের পর রাত নিজেদের ন্যায্য দাবিতে খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। তাঁদের এই লড়াইয়ের শরিক আজ আমরা হতে পারলাম। তারপরই সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে তপন থিয়েটারে আমরা প্রচুর মানুষের সামনে আমরা অভিনয় করলাম জগাখিচুড়ি। সবাইকার ভালোবাসায় আমরা আপ্লুত।’
একইসঙ্গে সুমনের সংযোজন, ‘দেবেশচট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত নাট্যউৎসব বাতিল। প্রসঙ্গত, উল্লেখ করি আজ আমাদের কাছে সন্ধ্যা ৭.১৯ মিনিটে কল্যাণী পুরসভা ইমেল করে জানান, আগামী ২৩ শে নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর অবধি সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য প্রেক্ষাগৃহ ব্যবহার বাতিল করা হল। আমরা এই চারদিনে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত ছয়টি নাটক কল্যাণী শহরে মঞ্চায়ন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে উৎপল দত্তের ‘ব্যারিকেড’ও ছিল। থিয়েটারের মতন গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজকে স্থগিত করে ওই চারদিন মঞ্চে কোন সরকারি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে তার জন্য অপার বিস্ময়ে অপেক্ষায় রইলাম। আমাদের সামান্য শক্তি নিয়ে এই আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। যারা টিকিট কেটেছেন তাদের টাকা আমরা ফেরত দেব।আমরা পুরো বিষয়টার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’ সুমনের পোস্টটি শেয়ার করে দেবেশ লেখেন, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি….২০০৩-২০২৩।’
এদিকে এই ঘটনাকে প্রতিহিংসা হিসাবে দেখছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, এটা প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ সরকারের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই সরকার তাদের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিল। তবে এর আগে বাম আমলেও এ ছবি দেখা গিয়েছে। একাধিক নাটকে পড়েছে কোপ। যদিও এ নিয়ে এখনও কল্যাণী পুরসভার তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টিভিনাইন বাংলাকে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি চিঠিতে দেখলাম সরকারি অনুষ্ঠানের কারণে নাটক বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে যদি সত্যি ওদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চে নাটক করার যোগ থাকে এর থেকে লজ্জাজনক কিছু আছে বলে মনে হয় না। যদি কোনও সম্পর্ক না থাকে খুশি হব। তবে ক্ষমতা কোনওদিনই বিরুদ্ধ কন্ঠ পছন্দ করে না। পশুখামার বা উইঙ্কল টুইঙ্কলের সময় যা ঘটেছিল আজও তা ঘটতে পারে।”