Kunal Ghosh: জেপিসিতে থাকা মানে ‘সময় নষ্ট’, তৃণমূলের অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন কুণাল
Kunal Ghosh: কিন্তু সেই কমিটি থেকে কার্যত সরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল শিবির। এখনও পর্যন্ত কারওর নামই পাঠায়নি তারা। অবশ্য তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, 'এটা দিল্লির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত। তারাই এই নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবেন।' পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, "ওই কমিটিতে থাকা মানে সময় নষ্ট। যে বিল জীবনে আসবে না, সেই নিয়ে আলোচনার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।"

নয়াদিল্লি: জেপিসি বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবে তৃণমূল? সেই নিয়ে এখন টালবাহানা। তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কুণাল ঘোষ, আবার গোটা প্রক্রিয়াটাকেই ‘সময় নষ্ট’ বলে দাগিয়ে দিলেন। একই সুর শোনা গিয়েছিল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখেও।
বুধবার লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বিলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সংসদের নিম্ন কক্ষকে জানান, কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকেন। তা হলে ৩১ দিনের মাথায় তাঁকে সেই নির্দিষ্ট পদ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে। ঠিক মিনিট খানেকের ব্যবধান। উত্তাল হয় সংসদ। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদদের। এরপরই সেই বিল বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেপিসি কমিটির কাছে।
কিন্তু সেই কমিটি থেকে কার্যত সরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল শিবির। এখনও পর্যন্ত কারওর নামই পাঠায়নি তারা। অবশ্য তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, ‘এটা দিল্লির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত। তারাই এই নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবেন।’ পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “ওই কমিটিতে থাকা মানে সময় নষ্ট। যে বিল জীবনে আসবে না, সেই নিয়ে আলোচনার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। আমরা বলছি, যদি আপনাদের সদিচ্ছা থাকে, মণিপুর, অসম এসব রাজ্যে এমন কিছু নেতা রয়েছে, যাদের দিকে বিজেপি আঙুল তুলে বলত, এদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই নেতারাই পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বড় বড় পদ পেয়েছেন। কেউ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, কেউ বা বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছা থাকলে, আগে তাঁদের বহিষ্কার করুন।”
শুক্রবার তিনটি নয়া রুটের মেট্রো উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সভায় ওঠা স্লোগান এখন বাংলার রাজনীতির মুচমুচে চর্চার বিষয়। এদিন সেই স্লোগানকে সামান্য কটাক্ষের সুরে পরিবর্তন করে কুণাল বলেন, “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপিতে যাই, এটা আসলে দুর্নীতিগ্রস্থদের বাঁচার প্যাকেজ।”
