Madan Mitra: পুরোহিতদের যেমন মন্দিরে যেতে হয়, রাজনীতিকদেরও তেমন সিবিআই দফতর: মদন
Madan Mitra: সারদা ও নারদ - দুই মামলাতেই অভিযুক্ত হিসেবে সামনে এসেছিল মদন মিত্রের নাম। সারদা মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। ২০২১ সালে মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নারদ মামলায়। অর্থাৎ একাধিক বার তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
কলকাতা: ভোটারদের কাছে আমাদের আদর আরও বেড়ে যাচ্ছে। সিজিও কমপ্লেক্সে যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন এমনই বললেন বিধায়ক মদন মিত্র। সম্প্রতি নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করেছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে সোমবার কলকাতার সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি নারদ মামলায় ফের নড়েচড়ে বসছে কেন্দ্রীয় সংস্থা? সেই নারদ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মদন মিত্রের দাবি, এই ধরনের সিবিআই তদন্ত নাকি রাজনৈতিক নেতাদের ‘স্টেটাস সিম্বল।’ এসব হলে ভোটারদের কাছে নেতাদের কদর আদতে বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সারদা ও নারদ – দুই মামলাতেই অভিযুক্ত হিসেবে সামনে এসেছিল মদন মিত্রের নাম। সারদা মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। ২০২১ সালে মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নারদ মামলায়। অর্থাৎ একাধিক বার তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করার বিষয়টাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন কামারহাটির বিধায়ক। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বেল পাকলে কাকের কী?’
তিনি আরও বলেন, “সিবিআই তলব করলে ভোটারদের কাছে আমাদের আদর আরও বেড়ে যায়। আমার এলাকায় লোকজনের সঙ্গে দেখা হলেই তাঁরা বলেন, কী ব্যাপার? আবার কিছু হচ্ছে নাকি? অসুবিধা হলে বলবেন টিফিন ক্যারিয়ারে আমরা খাবার পৌঁছে দেব।” তাঁর কথায়, সিবিআই তলবের বিষয়টা অনেকটা স্টেটাস সিম্বল-এর মতো।
মদন বলেন, ‘আমাকে যদি সিবিআই না ডাকত তাহলে তো আমি বিধানসভায় ঢোকার পারমিশনই পেতাম না। আমার আর রাস্তার পাগলের মধ্যে তো কোনও তফাত থাকত না। উকিল যেমন কোর্টে যায়, ডাক্তার যেমন চেম্বারে যায়, পুরোহিত যেমন মন্দিরে যায়, পলিটিশিয়ানদেরও তেমন সিবিআই দফতরে যেতে হয়।’ তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল ছাড়া আর কাউকে দল বলে মনে করে না বলেই বাকিদের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করে না।