Madan Mitra: বেতন বাড়ল না বিধায়কদের; ‘বিউলির ডাল, কুমড়ো ফুলের বড়া’-তেই ভরসা, বলছেন মদন
Madan Mitra: অনেকে আছে অন্যের ভাল দেখতে পারে না। এটাও তো ঠিক যে এমন অনেক বিধায়কও আছেন, যাদের প্রকৃত অর্থেই পুজোর মুখে এই ৪০ হাজার টাকা কাজে লাগত। ঠিক আছে ওনার ইচ্ছেমতো উনি করছেন।" তবে অনেকে যে তৃণমূলে 'প্রতিপত্তিশালী' বিধায়ক আছেন, তা মানছেন মদনও।
কলকাতা: মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ সংক্রান্ত যে আইন আছে তাতে কিছুটা সংশোধন দরকার। আর সেই কাগজে সই করবেন রাজ্যপাল। তবে সেই সই এখনও হয়নি। ফলে সোমবার এ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে পুজোর আগে বিধায়করা বর্ধিত ৪০ হাজার টাকা আর পেলেন না। এ নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, রাজ্যপাল সই না করায় বিধায়করা আর বর্ধিত টাকা পেলেন না। ফলে আপাতত এলাকার মানুষই তাঁদের দেখবেন। কীভাবে দেখবেন? মদনের জবাব, এলাকার যারা ভোটাররা তাদের কাছে হাত পেতে চলবে। কেউ আলু, কেউ কুমড়ো ফুল দিয়ে সাহায্য করবেন পুজোর চারটে দিন। মদন মিত্র বলেন, “খুব ভাল হত যদি রাজ্যপাল আমাদের বেতনটার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বেতনটাও আটকে দেওয়ার জন্য একটা বিলে সই করতেন। ওনাকে আমি একগুচ্ছ গোলাপ পাঠাতাম। তাহলে বোঝা যেত উনিও গণতন্ত্রের পূজারি এবং সকলের জন্য ভাবেন। বাংলায় শুধু বিজেপির নন, সকলেরই অভিভাবক বলে ভাবতাম।”
এরপরই ‘মিত্রমশাই’ বলেন, “উনি বিলে সই না করলেও চলবে। সকলে বিউলির ডাল, কুমড়ো ফুলের বড়া আর একটু পোস্ত দিয়ে দিলে তাতেই পুজোর ক’টা দিন বিধায়কদের চলে যাবে।” তবে তাঁর কথায়, এমন অনেক বিধায়ক আছেন, যাঁদের কাছে এই টাকাটা অনেকটাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বায়রন বিশ্বাসের নামও করেছেন। মদন বলেন, “যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁদের অনেকের অবস্থা ভাল। তবে আমাদের তো পেনশন আর এই মাইনে ছাড়া আর তো কোনও রোজগার নেই।”