Mahua Moitra: প্রয়াত বিধায়কের স্মরণসভা নিয়ে দড়ি টানাটানি! মহুয়া জিতলেন, উজ্বল হারলেন, কেন?
Nadia: বস্তুত, সরস্বতী পুজোর আগের দিন মৃত্যু হয় নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের। তাঁর মৃত্যুর পর নাসিরউদ্দিন ঘনিষ্ঠ বিধায়করা স্মরণ সভার ডাক দেন। রবিবার সেই স্মরণসভা হওয়ার কথা ছিল। এটির নেতৃত্বে ছিলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস।

কলকাতা: প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) স্মরণসভা ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের ডাকা দু’টি স্মরণ সভা ঘিরে বাড়ল জটিলতা। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে উজ্জ্বল বিশ্বাসের ডাকা স্মরণ সভা বাতিল করা হয়। মহুয়ার ডাকা স্মরণ সভাতেই সিলমোহর তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় নদিয়ার রাজনৈতিক মহল।
ঠিক কী ঘটেছে?
বস্তুত, সরস্বতী পুজোর আগের দিন মৃত্যু হয় নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের। তাঁর মৃত্যুর পর নাসিরউদ্দিন ঘনিষ্ঠ বিধায়করা স্মরণ সভার ডাক দেন। রবিবার সেই স্মরণসভা হওয়ার কথা ছিল। এটির নেতৃত্বে ছিলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস। এরপর দেখা গেল কৃষ্ণনগরের সাংসদও একই দিনের পাল্টা আরও একটি স্মরণসভার ডাক দেন। একই দিনে দু’টি স্মরণসভা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জটিলতা তৈরি হয়।
তৃণমূল সূত্রে খবর,এ রপর উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য নেতৃত্ব। বার্তা দেওয়া হয়,তাঁর ডাকা স্মরণসভা তুলে নেওয়ার জন্য। সূত্রের খবর, উজ্জ্বল রাজ্য নেতৃত্বকে জানান, তাঁরা এই স্মরণসভা আগে ডেকেছেন। তাহলে কেন তিনি তা প্রত্যাহার করবেন? এরপর রবিবার মহুয়া নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘রাজ্য কমিটির নামে ডাকা স্মরণসভার কোনও দলীয় অনুমোদন ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি বাতিল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩ টে দলের তরফে স্মরণসভা ডাকা হয়েছে। সমস্ত নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ কে ১৬ তারিখের সভাতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।’ অর্থাৎ উজ্জ্বল বিশ্বাসদের ডাকা স্মরণসভা বাতিল হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দ্বন্দ্ব আজকের নয়। মহুয়া মৈত্রকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য একযোগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূলেরই ছয় বিধায়ক। তার মধ্যে এই উজ্জ্বল বিশ্বাস যেমন ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদও। মহুয়ার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ঘটনার পর ফের একবার স্মরণসভা ঘিরে নদিয়ায় তৃণমূলে যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।





