Manik Bhattacharya in Supreme Court: তদন্তে সহযোগিতা না করলে মানিকের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করা হতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট
Manik Bhattacharya in Supreme Court: হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন মানিক। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে আবারও রক্ষাকবচ পেলেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে মানিকের তরফে দাবি করা হয়, তিনি সব তথ্য আদালতে জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে, সিবিআই দাবি করে মানিককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে শীর্ষ আদালতে চলল সওয়াল-জবাব। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। মানিকের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি, সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী এসভি রাজু।
আপাতত স্বস্তি মানিকের
প্রথমে একদিনের ও পরে ২ দিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। এবার শুক্রবার ফের তাঁর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হল। এ দিন শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর ফের আদালত খুলবে। তখন শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
সাহায্য না করলে তুলে নেওয়া হতে পারে রক্ষাকবচ
আপাতত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক রক্ষাকবচ পেলেও, কিছুটা অস্বস্তি রয়েই গেল। মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা না করলে রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করা হতে পারে, এমনই আভাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বারবার হাজির হয়েছেন, সওয়াল মানিকের
মানিক ভট্টাচার্যের তরফে আইনজীবী এ দিন উল্লেখ করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ তিনি সবসময়েই সহযোগিতা করেছেন। হাজিরাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী। তাই মানিকের সুরক্ষার আর্জি জানান তিনি।
‘কেলেঙ্কারির মূল হোতা’, বলল সিবিআই
সিবিআই উল্লেখ করেছে, মানিক ভট্টাচার্যই কেলেঙ্কারির মূল হোতা। আদালতের নির্দেশের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ সঠিক পদ্বতি মেনে তদন্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে বলল সিবিআই
সিবিআই এ দিন দাবি করেছে, নিয়োগের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে এবং এ বিষয়ে আদালতকে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। আদালত জানতে চায়, তদন্ত করতে আর কত সময় লাগবে? আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। সিবিআই-এর তরফে এ দিন এসভি রাজু আদালতে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। নিয়ম ভেঙে আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।