পুড়ে ছাই ৪ টি গোডাউন, প্রায় ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে মহেশতলার বিধ্বংসী আগুন
Maheshtala Fire: মহেশতলা থানা এলাকার ময়নাগড়ে মঙ্গলবার দুপুরে একটি স্যানিটাইজারের গোডাউনে প্রথম আগুন লাগে।
কলকাতা: প্রায় ১০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এল মহেশতলার আগুন। তবে এখনও কিছু কিছু জায়গায় পকেট ফারায় রয়েছে। দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪ টি গোডাউন কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকলের ১৩ টি ইঞ্জিন, রোবট এবং ফোমের সাহায্যে সাড়ে ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। দমকল সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত জলের সঙ্কুলান না থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিছুটা দূরে পুকুর থেকে জল তুলে এনে আগুন নেভানো হয়েছে। এখনও দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পকেট ফায়ার খুঁজে তা নেভানোর কাজ করছে। নতুন করে আগুন আর ছড়ানোর কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে দমকল।
মহেশতলা থানা এলাকার ময়নাগড়ে মঙ্গলবার দুপুরে একটি স্যানিটাইজারের গোডাউনে প্রথম আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ থাকায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। একের পর এক ইঞ্জিন এলেও আগুন ক্রমাগত বিধ্বংসী চেহারা নিতে থাকে। স্যানিটাইজারের গোডাউন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি কাগজের গোডাউনে।
কাগজের গোডাউন মানেই একসঙ্গে প্রচুর দাহ্য বস্তু জড়ো করে রাখা। মুহূর্তে সমস্তটা ছাই করে দেয় আগ্রাসী আগুন। এরপরই নারকেল তেলের একটি গোডাউনে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা অবধিও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাতে আগুন নেভানোর কাজ চালানোর জন্য আনা হয় বিশেষ আলো। আশেপাশের গুদামগুলিতে যদি আগুন ধরে যায়, প্রাণপণে সেখানকার জিনিস সরিয়ে দেন স্থানীয়রা।
আগুনের জেরে চারদিক কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। পে লোডার দিয়ে কারখানার দেওয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করা হয়। আগুন নেভাতে আনা হয় রোবট। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, “এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লাগবে। কারণ এখানে তেল, স্যানিটাইজারের মতো দাহ্য বস্তু রয়েছে। পর্যাপ্ত জল, ফোমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এত উত্তাপের জন্য দমকল কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না ভিতরে। সেখানে রোবটকে ঢোকানো হবে। স্থানীয়রাই বললেন, একজনের হাত পা ছড়ে গিয়েছে। এর বাইরে বড় কোনও হতাহতের খবর নেই।” আরও পড়ুন: ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাননি একজনও’, রাজ্যসভায় জবাব দিল কেন্দ্র