Mukul Roy: পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়

Mukul Roy: বিধানসভা নির্বাচনের পরই পিএসি চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছিল বিধায়ক মুকুল রায়কে। সেই ইস্যুতে বিতর্কও হয় অনেক।

Mukul Roy: পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2022 | 5:45 PM

কলকাতা: সব বিতর্কের ইতি! বিধানসভার পিএসি তথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিধায়ক মুকুল রায়। সোমবার একটি ইমেল পদত্যাগ করলেন তিনি। এই পদ নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। সম্প্রতি ওই পদের মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবার নিজেই পদত্যাগ করলেন মুকুল রায়।

সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন মুকুল রায়। প্রথম থেকেই মুকুলকে এই পদ দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। আর এবার বর্ষীয়ান নেতার এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অসুস্থতাই একমাত্র কারণ নাকি কোনও চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। সূত্রের খবর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ই-মেল পাঠিয়েছেন মুকুল রায়, সেখানে লেখা রয়েছে একটি মাত্র লাইন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদত্যাগ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর কাকে এই পদে নিয়ে আসা হবে, তা স্পষ্ট নয়।

সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের বিষয়টি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে দেখছিলেন। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, মুকুলের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরের প্রভাব থাকতেও পারে।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা গোটা দলের পরাজয় বলে মনে করি। বরাবরই এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকেন বিরোধী দলের বিধায়ক।’ বিজেপি নেতার দাবি, জোর করে এই পদ নেওয়ার যে চেষ্টা করেছিল শাসক দল, সে ক্ষেত্রে যে হার হয়েছে, তা অবশেষে মেনে নিতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মনে করেন হয় চাপের মুখে ইস্তফা দিতে হয়েছে মুকুলকে, অথবা এটা কোনও নাটকের প্লট। বাম নেতা বলেন,  ‘হয় অত্যন্ত আনন্দে তিনি ইস্তফা দিলেন, নাহলে খুব কষ্টে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়।’ একই সঙ্গে মুকুল রায় বিজেপিতে আছে বলে যে রায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে সুজন চক্রবর্তী বলেন, সবাই দেখল মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, শুধুমাত্র টের পেল না বিধানসভা।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার কাছে এখনও চিঠি আসেনি। যদি সচিবালয়ে এসে থাকে, তাহলে তারা আমায় জানাবে। দেখব চিঠিটি আইনগত ভাবে ঠিক আছে কী না! যদি আইনগত ভাবে ঠিক থাকে তাহলে গ্রহণ করব। আর ঠিক না থাকলে তা গ্রহণ করা হবে না। গ্রহণ করা বা না করা স্পিকারের বিবেচনাধীন।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওই কমিটির মেয়াদ বাড়াতে শুক্রবার মোশন আনা হয়েছিল বিধানসভায়। কমিটির সদস্য বা চেয়ারম্যানও বদল করা হয়নি। ফলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে মুকুল রায়ই আপাতত ওই পদে থাকছেন। প্রথম থেকেই মুকুলকে এই পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধীরা। শাসক দলের যুক্তি ছিল, মুকুলের অভিজ্ঞতার দাম দিতেই এই পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুভেন্দুদের বক্তব্য ছিল, বরাবর এই পদ দেওয়া হয় বিরোধী দলের বিধায়ককে। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও কেন মুকুল পেলেন সেই পদ? তবে সম্প্রতি দলত্যাগ মামলায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন।