Drug Abuse: পেটে জমা মল ঘেঁটে উদ্ধার ৪৪ টি কোকেন ক্যাপসুল, তাজ্জব কাণ্ড SSKM-এ

SSKM : ওই ব্যক্তি পেটে ব্যাথা অনুভব করছিল। তাতে কিছুটা সন্দেহ হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের। পেটের এক্স-রে করানো হয় ব্রাজিলিয়ান ওই নাগরিকের। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ।

Drug Abuse: পেটে জমা মল ঘেঁটে উদ্ধার ৪৪ টি কোকেন ক্যাপসুল, তাজ্জব কাণ্ড SSKM-এ
উদ্ধার ৪৪ টি কোকেন ক্যাপসুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 6:05 PM

কলকাতা : ফিল্মি কায়দায় সুদূর ব্রাজিল থেকে মাদক এসে পৌঁছেছিল কলকাতায়। পাচারকারীর পাকস্থলীতে লুকিয়ে ছিল কোকেনের ক্যাপসুল। ওষুধ খাইয়ে, মলত্যাগ করিয়ে, সেই মল ঘেঁটে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হল ৪৪ টি কোকেন ক্যাপসুল। এর আগে দক্ষিণী সিনেমায় এমনভাবে মাদকের পুরিয়া খাইয়ে পাচার করানোর দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। এবার সেই ঘটনাই দেখা গেল বাস্তবে। ১২ অগস্ট দুবাই থেকে কলকাতায় এসেছিল ব্রাজিলিয়ান এক নাগরিক। গোপন সূত্র মারফত, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল মাদকের বিষয়ে। ব্রাজিল থেকে উৎকৃষ্ট মানের কোকেন শহরে পাচার করছে এই ব্যক্তি, এমনই খবর ছিল নারকোটিক্স বিভাগের কাছে। সেই মতো ওই ব্রাজিলিয়ান নাগরিক কলকাতায় আসার পরই তাকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ওই নাগরিককে আটক করা হলেও, তার থেকে প্রাথমিক তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায় না। পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তি পেটে ব্যাথা অনুভব করছিল। তাতে কিছুটা সন্দেহ হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের। পেটের এক্স-রে করানো হয় ব্রাজিলিয়ান ওই নাগরিকের। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির পাকস্থলীর মধ্যে ৪৪ টি ক্যাপসুল রয়েছে। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই ক্যাপসুলগুলি শরীর থেকে বের করানোর জন্য সেখানে এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ খাইয়ে মলত্যাগ করান।

তারপর সেই মল ঘেঁটে বেরোয় ৪৪ টি ক্যাপসুল। হলুদ রঙের বেশ বড়-বড় ক্যাপসুল। সেই ক্যাপসুলগুলি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯৭ গ্রাম কোকেন। যার বাজারদর প্রায় কয়েক কোটি টাকা। নারকটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে খবর, এই বিশেষ ক্যাপসুলগুলি পাকস্থলীর ভিতরে ঢুকলেও শরীরে মিশে যায় না। মাদক পাচার করার ক্ষেত্রে এই বিশেষ ধরনের ক্যাপসুলগুলি ব্যবহার করতেই পছন্দ করে পাচারকারীরা। ক্যাপসুলের মধ্যে কোকেন ভরার পর, এই ক্যাপসুলগুলি গিলে নেয় পাচারকারীরা। এইভাবেই সবার নজর এড়িয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তৎপরতায় পাচারের আগেই এবার উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক।