Na Bollei Noy: ডাকাবুকো না হলে কী আর নেতা হওয়া যায়? যে কথা ‘না বললেই নয়’
Na Bollei Noy: নেতা কখনও ন্যাতানো হয় না। মিইয়ে যাওয়া মুড়ি হতে পারে। কিন্তু নেতা? নৈব নৈব চ। তাই, রণে, বনে, জলে বা জেলে নেতা যেখানেই থাকুন, তিনি বুক ফুলিয়ে ঘোরেন।
কলকাতা: ডাকাবুকো মানুষ। ডাকাবুকো না হলে কী আর নেতা হওয়া যায়? কোনওদিন, গুডি গুডি ইমেজের নেতা কি দেখেছেন না কি? কাজেই, নেতা মানেই মুখে মুখে বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ। হুঙ্কার। লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান। সে গায়ে যে দলের জার্সিই থাকুক না কেন। নেতা কখনও ন্যাতানো হয় না। মিইয়ে যাওয়া মুড়ি হতে পারে। কিন্তু নেতা? নৈব নৈব চ। তাই, রণে, বনে, জলে বা জেলে নেতা যেখানেই থাকুন, তিনি বুক ফুলিয়ে ঘোরেন। কাজেই নেতা হওয়া সহজ কথা নয়। নেতাদের বিভিন্ন গুণ থাকে। বায়োডেটায় শিক্ষাগত যোগ্যতার প্যারা ছোট হতে পারে, কিন্তু এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটি লম্বা হতেই হবে। নেতা মানেই দান, ধ্যান, পরোপকারী এক শ্রেণি। মানুষের সুখে দুঃখে ছুটে যাওয়া, কাছের মানুষ এবং কাজের মানুষ (দেওয়াল লিখন দেখেননি?)। তাই নেতাদের নিয়ে এত খবর। খবরে থাকতে নেতারা ভালই বাসেন। আর এখন তো এরাজ্যে নেতারাই নক্ষত্র। খবরের ধ্রুবতারা।
তবে, কিছু কিছু নেতা যে অন্তর্যামী হন, তা সুকান্ত মজুমদারকে না দেখলে বোঝা যেত না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল মুশকিলে আছেন। সংশোধনাগারে থাকতে হচ্ছে। সুকান্ত বলছেন, হু ইজ নেক্সট? এরপর কে? সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এরপর না কি ফিরহাদ হাকিমের পালা। তদন্তকারীর এজেন্সিগুলো না কি পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী এবং কলকাতার মহানাগরিকের দরজায় পৌঁছে যাবেন? সুকান্ত কী করে জানলেন এসব কথা? তিনি গোয়েন্দাদের ওপরও গোয়েন্দাগিরি করেন না কি? না কি, সংবাদমাধ্যমের মতো তাঁর কাছেও সূত্রের খবর পৌঁছয়? সূত্রর সুতোয় টান দিলে সেটিং এবং মিটিং এর গল্প চলে আসবে না তো? সুকান্ত মজুমদারের কথার পর ফিরহাদ হাকিম পাল্টা ফোঁস করেছেন। ফিরহাদ প্রশ্ন তুলছেন, তৃণমূল করলেই কি অপরাধী না কি? একই সঙ্গে, বুক ঠুকে বলেছেন, জেলে তিনি আগেও গেছেন। জেলে যেতে তাঁর ভয় নেই। কিন্তু, কেন ফিরহাদকে নিয়ে সুকান্ত মজুমদার, পূর্বাভাস দিতে গেলেন? তিনি কি অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছেন? অনুব্রত বা পার্থর গ্রেফতারির আগে, সুকান্ত এবং শুভেন্দু কিন্তু ইনিয়ে বিনিয়ে বিভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেসব শুনেই তো তৃণমূল সেটিং সেটিং বলে চিত্কার করেছিল। বলেছিল, এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
কে জানে? কখন যে কার পাকা গুটি নষ্ট হয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ্যেই স্নেহের কেষ্টের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অনুব্রতবাবুও সে কথা শুনে, দিব্যি ছিলেন। কিন্তু, বাদ সাধলেন কে? কেন অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা খর্ব হল? কার নির্দেশে? কোন বৈঠকের পর? তাহলে নতুন তৃণমূলের কাজ জোরকদমে চলছে? অনুব্রত মণ্ডলেরও ডানা ছাঁটা যায়? এমন ঝুঁকি তৃণমূল কেন নিল?
ওদিকে, আরেকজন। পরেশ অধিকারীকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন কি না কে জানে? দিনকতন বেশ, লুকোচুরি খেললেন। সিবিআই-ইডি খুঁজে খুঁজে হন্যে হয়ে গেল। অবশেষে, তিনি দেখা দিলেন। TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে ভিডিয়ো কলে জানালেন, তিনি বাড়িতেই আছেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? এই প্রশ্ন করে দেখাতে শুরু করলেন রান্নাঘর। রান্নাঘরে কে? আরে মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে তাঁকে ভীষণ দরকার তদন্তকারীদের। দেখা না পেয়ে, সিবিআই তো লুকআউট নোটিসই জারি করে দিয়েছিল। আর কয়েকঘণ্টা আগে, দেখা দিলে, এত হ্যাপা পোহাতে হত না সিবিআইকে।
এসব নিয়ে অনেক কথা হবে। নেতাদের কথা, জনতার মতো করে। রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায় না বললেই নয়।