Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Soumitra Khan: কুণালকে ‘বাংলার মামা’ সম্বোধন করে বিজেপিতে ‘আমন্ত্রণ’ সৌমিত্রর

Soumitra Khan: সৌমিত্র খাঁ হাসতে হাসতে বলেন, "মামা এখন বিজেপিতে আসবেন কি না... যদি আসতে চান, তাহলে বলব, তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ, এরপর জায়গা আর থাকবে না।"

Soumitra Khan: কুণালকে 'বাংলার মামা' সম্বোধন করে বিজেপিতে 'আমন্ত্রণ' সৌমিত্রর
কুণালকে বিজেপিতে 'আমন্ত্রণ' সৌমিত্রর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 5:24 PM

কলকাতা : তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ‘মামা’ বলে সম্বোধন করলেন বিজেপি নেতা তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কুণাল বাবুর জন্য বিজেপিতে জায়গা ঠিক করা হচ্ছে বলেও দাবি সৌমিত্রর। বিজেপি নেতার এ হেন মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। বিজেপি সাংসদ বলেন, “কুণাল ঘোষ হচ্ছেন আমাদের মামা। কুণাল দার জন্য জায়গাটা রাখার জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। কুণালদা বিজেপিতে আসবেন কি না, তা কুণাল দা ঠিক করুক। কারণ, কুণাল দা সব বুঝতে পারেন, সব জানেন। কুণাল দা হচ্ছেন এই বাংলার মামা।” এরপর হাসতে হাসতে বলেন, “মামা এখন বিজেপিতে আসবেন কি না… যদি আসতে চান, তাহলে বলব, তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ, এরপর জায়গা আর থাকবে না।”

বিজেপি সাংসদের এ হেন মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে বেশ কড়া ভাষায় মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল কিছুদিন। এমনকী কুণাল বাবু যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেন কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়। এরপরই হঠাৎ করেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্যুতে কথা বলা বন্ধ করে দেন কুণাল ঘোষ। এরপর হাতে বোরোলিন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমি বোরোলিন নিয়ে চলি।” এর কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। তাঁর মতে, জীবনের ওঠাপড়া যাতে সহজে গায়ে না লাগে, সেই কারণেই তিনি বোরোলিন নিয়ে চলেন।

যদিও বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র এই ধরনের মন্তব্যের বিষয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর মোবাইল সুইচড অফ ছিল।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সৌমিত্র খাঁ বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ইডি-সিবিআই-এর কাছে কুণাল ঘোষই তথ্য পাঠিয়েছেন। বলেছিলেন, “কুণালবাবু ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে মুখটা দেখিয়েছিলেন। তারপর যা তথ্য দেওয়ার ইডি সিবিআই পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। উনি যখন জেলে ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা উদযাপন করেছিলেন। তাই এখন কার কার নামের তালিকা কোথায় যাচ্ছে তা কুণালবাবু ভালই জানেন।”