Netai Mass Killing Case: নেতাই গণহত্যা মামলায় এখনও রিপোর্ট পেশ করতে পারল না CBI, পরবর্তী শুনানি ৬ এপ্রিল

CBI: এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর নেতাই গণহত্যা তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে সিবিআইকে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

Netai Mass Killing Case: নেতাই গণহত্যা মামলায় এখনও রিপোর্ট পেশ করতে পারল না CBI, পরবর্তী শুনানি ৬ এপ্রিল
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2022 | 3:45 PM

কলকাতা: নেতাই গণহত্যা মামলায় (Netai Mass Killing Case) তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে? আদৌ কি এগিয়েছে তদন্ত? সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হল না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য তদন্ত শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাদের আরও সময় প্রয়োজন। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যেই নেতাই মামলার রিপোর্ট পেশ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেদিনই হবে পরবর্তী শুনানি। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর নেতাই গণহত্যা তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে সিবিআইকে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল সিবিআইয়ের। কিন্তু, তা  না হওয়ায় কার্যত পরবর্তী ৫ এপ্রিল রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওইদিনই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

নেতাই গণহত্যার ১২ বছর হতে চলল। তদন্তের গতিপ্রকৃতি আদৌ কী তা বিস্তারিত জানাতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। ভোটের বছর ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাই গ্রামে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী। তাঁদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বাম সরকার আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। লালগড় ব্লকের ওই গ্রামের সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাতের বাড়ি থেকে চলেছিল গুলি। সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।

হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের তদন্ত বাতিল করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।  হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন মৃত ও আহতদের ক্ষতিপুরণের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। ঘটনায় চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও অভিযুক্তরা সাজা পায়নি। রথীন দণ্ডপাতরা এখনও নেতাই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বাম শাসকদল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেতাই গ্রামের প্রতি বাড়ির থেকে একজন  সদস্যকে বাম শিবিরে যোগদানের কথা বলেছিল। তার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ৭ জানুয়ারি মিছিল করেন। সেই মিছিলেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাতে ৯ জন প্রাণ হারান ও ২৮ জন আহত হন। ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।  পরবর্তীতে, পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৭ জানুয়ারি নেতাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: Isalmpur Municipal Election 2022: ইসলামপুর পুরভোটে ‘অশান্তির’ আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়ক

আরও পড়ুন: Municipal Elections 2022: ‘২ দিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার, না হলেই ব্যবস্থা’, নির্দল-কাঁটায় কড়া অরূপ!