ভোটের মুখে ছত্রধরকে হেফাজতে চেয়ে এবার হাইকোর্টে এনআইএ
ছত্রধর মাহাতো (Chhatradhar Mahato) জানান, এনআইএ বহুদিন ধরেই তাঁকে হেফাজতে চাইছে। ভোটের মুখে ফের তাদের নড়েচড়ে বসা বুঝিয়ে দিচ্ছে এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য আছে।
কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্রধর মাহাতো মামলায় নয়া মোড়। ছত্রধরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে কলকাতা হাইকোর্টে মরিয়া চেষ্টা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)-এর। ছত্রধরের বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতের সমস্ত নথি চেয়ে পাঠাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবারই যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে ছত্রধর মাহাতো-সহ পাঁচজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়া হয়। ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ এবং ২০০৭ সালে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। ২২শে অক্টোবর ২০২০ সালে আইআইএ-এর বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, যেহেতু ঝাড়গ্রাম নিম্ন আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছিল, তাই ছত্রধর মাহাতো এবং পাঁচ অভিযুক্তের জামিন খারিজের জন্য এনআইএ-কে সেখানেই আবেদন করতে হবে। হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি এজলাস ঘুরে বর্তমানে মামলার শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবি দেবাশিস রায় আদালতে মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, ২০০৭ সালে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন হন। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে (৩০২/১২৩) ধারায় খুন এবং দেশদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয়। যার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস। ১৩ বছর বাদে ছত্রধর মাহাতো-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারা যোগ করার কারণ কী?
আরও পড়ুন: বড় খবর! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উঠল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার
অন্যদিকে এনআইএ-এর পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে দাবি করেন, তাঁদের আইন অনুযায়ী এনআইএ-এর মামলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হতে পারে না। মূলত এনআইএ-এর বিশেষ আদালত এবং হাইকোর্ট দেখবে। হাইকোর্ট অবিলম্বে ছত্রধর মাহাতো জামিন খারিজ করুক। এরপরই এনআইএ-এর মামলায় নিম্ন আদালতে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবারই নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো বলেন, “এটা তো অনেকদিন ধরেই ওরা চাইছে। ওরা আসলে চাইছে যেভাবেই হোক আমাকে হেফাজতে নিতে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত হয়েই এগুলো করছে। এটাকে কিন্তু আদিবাসী মানুষ ভাল চোখে নেবেন না। এর সদুত্তর দেবেন।”