Kolkata Metro: বন্ধ নিয়োগ, ভরসা বদলি! পুজোর মুখে নয়া পরিষেবা সামাল দিতে গিয়ে বড়সড় সঙ্কটে পড়বে না তো কলকাতা মেট্রো?
New Metro Service: এসপ্লানেড-শিয়ালদহ মেট্রোপথ জুড়ে যাওয়ায় দুই স্টেশনেই যাত্রীর চাপ ভয়াবহ আকারে যে বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। শিয়ালদহ স্টেশনে দৈনিক দেড় লক্ষ যাত্রী বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

কলকাতা: নিয়োগ স্তব্ধ, নয়া পরিষেবার সামাল দিতে কর্মী বদলি চলছেই, পুজোর মুখে সঙ্কটে পড়বে না তো কলকাতা মেট্রো? প্রশ্নটা কিন্তু ইতিমধ্যেই পাক খেতে শুরু করে দিয়েছে। শুক্রবার থেকেই ন’য়া তিনটি মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। বেড়েছে পুরনো করিডরে পরিষেবাও। আর এই আবহেই চিন্তা বাড়ছে কলকাতা মেট্রোতে কর্মী সঙ্কট নিয়ে। কারণ, এক করিডর থেকে অন্য করিডরে বারবার কর্মী বদলি করতে হচ্ছে পরিষেবা সামাল দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে কর্মী নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সে কারণেই বদলি নীতির পথে হাঁটতে হচ্ছে মেট্রোকে। কিন্তু যেখান থেকে বদলি করছে, সেখানে সামাল কীভাবে? উত্তর নেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের গলায়।
সমস্যা ঠিক কোথায়?
সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর চারটি স্টেশন পরিচালনার জন্য শহরের অন্যান্য মেট্রো থেকে আগেই ২৭ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও দু’দফায় রুবি-বেলেঘাটা এবং নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনের জন্য আরও প্রায় ৪০ জনকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু যে করিডর থেকে বদলি করা হচ্ছে, সেখানকার কর্মী সংখ্যা রীতিমতো তলানিতে ঠেকেছে। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। পরিষেবা বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মীদের অপ্রতুলতা বড় সমস্যা আকারে দেখা দিতে পারে বলেই মেট্রো আধিকারিকদের একাংশের দাবি।
আরও বাড়ছে চাপ
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড স্টেশন দু’টি শিফট মিলিয়ে ৮ জন কর্মীর ভরসায় চলছে। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, নয়া তিনটি পরিষেবা শুরুর পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিষেবা সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই চাপ বেড়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপরে। কারণ যে পরিমাণ কর্মী রয়েছে প্রতিটি স্টেশনে, তাতে কতটা সামাল দেওয়া যাবে সেটাই এখন বড়সড় প্রশ্ন।
এসপ্লানেড-শিয়ালদহ মেট্রোপথ জুড়ে যাওয়ায় দুই স্টেশনেই যাত্রীর চাপ ভয়াবহ আকারে যে বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। শিয়ালদহ স্টেশনে দৈনিক দেড় লক্ষ যাত্রী বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই শিফট মিলিয়ে ওই স্টেশন চলছে মাত্র ১৮ জন কর্মীর ভরসায়। সামনেই দুর্গাপুজো। দুপুর থেকে পরের দিন ভোর রাত পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু থাকবে। এ অবস্থায় যাত্রী চাপ কতটা সামাল দেওয়া যাবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে। বেড়েই চলেছে চিন্তা।
