Parnashree: স্ত্রীকে ছেড়ে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে থাকছিলেন, সেখানেও অশান্তি, চরম সিদ্ধান্ত যুবকের
Parnashree: প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সেই সময় উপর থেকে অনিক চিৎকার করে বলতে থাকেন তিনি আত্মহত্যা করবেন। এই চিৎকার শুনে পাড়ার একজন প্রতিবেশী ১০০ ডায়ালে ফোন করে দেন। রিম্পা উপরে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না
কলকাতা: সাড়ে তিন বছরের আলাপ এবং সেই আলাপ থেকে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। হাওড়া লিলুয়ার বাসিন্দা বছর বত্রিশের অনিক সাহা ও বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা রিম্পা চক্রবর্তী দু’জনেই বিবাহিত। বেশ কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে রিম্পার ডিভোর্স হয়ে যায়। রিম্পার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে সেই পুত্রের বয়স ৭ বছর। এরপর ওই রিম্পার সঙ্গে অনিক সাহার পরিচয় হয়। অনিক সাহা বিবাহিত হওয়া সত্বেও রিম্পার সঙ্গে ‘লিভিং পার্টনার’ হিসাবে থাকতে শুরু করেন। জানা যায়, রিম্পা অনিককে বহুবার আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু অনিক তাঁর আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। অনিক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগও রাখতেন। আর এই নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত প্রায়শই।
গত দু’মাস আগে সেই ঝামেলা চরম আকার নিলে রিম্পা অনিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। অনিকের ১৪ থেকে ১৫ দিন জেল হেফাজত হয়ে যায়, জেল হেফাজতের পর জামিন পেয়ে যখন ছাড়া পান, তখন আবার দুজনের মধ্যে মিলমিশ শুরু হয়। বুধবার রাতে আবার ঝামেলা শুরু হয় রিম্পার সঙ্গে অনিকের। সহ্য করতে না পেরে রিম্পা চারতলার ফ্যাট থেকে নীচে নেমে আসে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সেই সময় উপর থেকে অনিক চিৎকার করে বলতে থাকেন তিনি আত্মহত্যা করবেন। এই চিৎকার শুনে পাড়ার একজন প্রতিবেশী ১০০ ডায়ালে ফোন করে দেন। রিম্পা উপরে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। তখন রাত সাড়ে বারোটা বাজে। এরপর পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অনিককে ঝুলতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আপাতত পর্ণশ্রী থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে।