Partha Chatterjee: আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না, বিদ্যা-বুদ্ধি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকে কথা বলি: পার্থ
Recruitment Scam: পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, আমি অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর দিই না। এই ধরনের অসত্য, বাস্তবহীন অভিযোগ কোনও তথ্য নির্ভর নয়।'
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য মিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন উস্কে দিয়েছিলেন, আলিপুর সংশোধনাগারে বসেই নাকি এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, আমি অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর দিই না। এই ধরনের অসত্য, বাস্তবহীন অভিযোগ কোনও তথ্য নির্ভর নয়। উনি বিরোধী দলনেতা, উনি ভাল মতোই জানেন, আমি নিজের বিদ্যা, বুদ্ধি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মধ্যে থেকেই কথা বলি। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না। আমি এই ধরনের মন্তব্য ওনার থেকে প্রত্যাশা করি না।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কুণাল ঘোষ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে বিরোধী দলগুলির একাধিক নেতার নাম ছিল। কুণাল ঘোষের সেই পোস্টের পর আধ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে জলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছিল। কীভাবে তৃণমূল মুখপাত্রর বক্তব্যের সঙ্গে জেলবন্দি একজনের বক্তব্য মিলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল শিবিরকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘দুর্বল চিত্রনাট্য’। যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই মন্তব্য করেছিলেন, তার আগের দিন বিকেলে আলিপুর সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থবাবু ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ যাতে সংরক্ষণ করা হয়।
যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তৃণমূল মুখপাত্রর স্পষ্ট বার্তা ছিল, এখানে কোনও চক্রান্তের বিষই নেই। শুভেন্দুর অভিযোগকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘জেল ব্য়াপারটি মামাবাড়ি নয়। সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। উনি প্রমাণ করে দেখাক, কাল সন্ধেয় এমন কিছু হয়েছে।’ এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি কারও অঙ্গুলিহেলনে কথা বলেননি।