COVID Booster Dose : বুস্টার ডোজে অনীহা কলকাতাবাসীর, ‘মারাত্মক প্রবণতা’য় আশঙ্কিত ডেপুটি মেয়র
COVID Booster Dose : কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র বলেন, অনেক বাসিন্দার বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু সেইসব বয়স্ক মানুষজন সরাসরি বলে দিচ্ছেন করোনা নেই। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কলকাতা : বুস্টার ডোজ নিতে সম্পূর্ণ অনীহা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। কেউ নিতে আসছেন না এই বুস্টার ডোজ। কলকাতা পুরনিগমের মাসিক অধিবেশনে তথ্য প্রকাশ করে জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ সদস্য তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এমনকি, করোনা ভীতি চলে যাওয়ায় বুস্টার ডোজ কেউ নিতে আসছেন না বলে দাবি করলেন তিনি। বয়স্কদের মধ্যে এই অনীহা সবথেকে বেশি।
শনিবার, আজ কলকাতা পুরনিগমের মাসিক অধিবেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ এ তথ্য জানানো হয়। গোটা কলকাতায় জনসংখ্যা রয়েছে ৪৫ লক্ষর কিছু বেশি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৮৪৪ জন। শুধু এখানেই শেষ নয়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতায় ৬০-এর বেশি বয়সী বাসিন্দার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ৯ লক্ষের কিছু বেশি। তাঁদের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৪ জন। যা মাত্র ৩০ শতাংশ।
আজ পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “৬০ বছরের বেশি বয়সীরা-যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের নাম, ঠিকানা বের করে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ফোন করছেন। কেন অনীহা প্রকাশ করছেন তাঁরা, সেই বিষয়টি জানতে চাইছেন তাঁদের কাছ থেকে। এমনকি অনেক বাসিন্দার বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু সেইসব বয়স্ক মানুষজন সরাসরি বলে দিচ্ছেন করোনা নেই। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
বুস্টার ডোজ নেওয়ায় অনীহা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র বলেন, “এই প্রবণতা অত্যন্ত মারাত্মক।” তাঁর আশঙ্কা, “এই প্রবণতা বড়সড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।” আজ আরও একটি তথ্য প্রকাশ করেন অতীনবাবু। স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে মাত্র ৫৩ হাজার ৫৬ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে প্রাপকের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার ৬৯৪ জন। অতীনবাবু স্বীকার করেছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে যে প্রচার দরকার ছিল প্রশাসনের তরফে, তা পুরোটা করে ওঠা যায়নি। তিনি আশ্বাস দেন, “প্রচারের ক্ষেত্রে আরও জোর দেব।”