Physical Harassment: আমৃত্যু কারাদণ্ড নয়, অভিযুক্তদের ফাঁসি চাইছে বিষ্ণুপুরের মৃত ধর্ষিতার পরিবার
Physical Harassment: থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তরা গ্রেফতারও হয়। কিন্তু পরে তারা জামিন পেয়ে যায়। এরপর থেকেই নির্যাতিতাকে হুমকি হুমকি ও তাঁর বাবা-মাকে নানারকমভাবে হেনস্থা করা হত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা:
গণধর্ষণের মামলায় ৭ বছর পর সাজা ঘোষণা আমৃত্যু কারাদণ্ড। ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করল আদালত। তবে নির্যাতিতার পরিবার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছে। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর গণধর্ষণের স্বীকার হন বিষ্ণুপুর থানার পাল পাড়ার এক বাসিন্দা। দুর্গার পুজোর বিসর্জন দেখে রাত ১১ টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ে প্রতিবেশী যুবকরা তাঁকে গণধর্ষণ করে ।
থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তরা গ্রেফতারও হয়। কিন্তু পরে তারা জামিন পেয়ে যায়। এরপর থেকেই নির্যাতিতাকে হুমকি হুমকি ও তাঁর বাবা-মাকে নানারকমভাবে হেনস্থা করা হত। তা সহ্য করতে না পেরে ওই বছরেই ২৬ ডিসেম্বর অবসাদে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা।
অভিযুক্তদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সুধেন্দু পাল, কার্তিক জানাকে। আলিপুর আদালত ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করে। দোষীদের আজীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় ।
তবে নির্যাতিতার ভাই, প্রতিবেশী দাদা বৌদি ও খুড়তুতো ভাইয়ের দাবি, যদি এই নিয়ে অভিযুক্তরা দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্তও যাবে। দোষীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।