Calcutta High Court: স্বামী পালিয়েছেন মালয়েশিয়ায়, ‘স্ত্রীধন’ ফেরাতে ১১ বছর ধরে মামলা লড়ছেন সুচরিতা
Calcutta High Court: সুচরিতার অভিযোগ, বিয়ের চার বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কোনওভাবেই সমাধান না হওয়ায় ২০১২ সালে ডিভোর্স নেন সুচরিতা। সেই সময় বাড়ি থেকে সামান্য জিনিসপত্র আনলেও তাঁর যাবতীয় গয়না দিতে অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
কলকাতা: স্ত্রীধন নিজের অধিকার হলেও সেটা হাতে পেতে প্রায় কালঘাম ছুটে যাচ্ছে মহিলাদের। মামলা করেও রেহাই নেই। বিয়ের গয়না ফেরাচ্ছে না শ্বশুরবাড়ি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানান অনেকেই। ঠিক এমনই অবস্থা বাগুইআটির বাসিন্দা সুচরিতার। ১১ বছর ধরে মামলা লড়ে যাচ্ছেন। গয়না পাওয়া তো দূরের কথা। ডিভোর্সের পরও মিলছে না খোরপোষ। রোড কর্নার নোটিস থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামী চলে গিয়েছেন মালয়েশিয়ায়।
সুচরিতার অভিযোগ, বিয়ের চার বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কোনওভাবেই সমাধান না হওয়ায় ২০১২ সালে ডিভোর্স নেন সুচরিতা। সেই সময় বাড়ি থেকে সামান্য জিনিসপত্র আনলেও তাঁর যাবতীয় গয়না দিতে অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে মামলা হয়। মামলা চলাকালীন তাঁর স্বামী মালোয়েশিয়ায় চলে যান বলে অভিযোগ।
বর্তমানে মামলাটি চলছে বিচারপতি রাই চট্ট্যোপাধ্যায়ের ঘরে। সুচরিতার প্রশ্ন রেড কর্নার নোটিস জারি থাকার পরেও কীভাবে দেশ ছেড়ে বিদেশে যাচ্ছেন অভিযুক্ত? বিচারপতি রাই চট্ট্যোপাধ্যায় এই মামলায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে চিঠি লেখা ছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনও উপায় নেই, ফলে আদৌ তাঁর স্বামী সঞ্জীব বসুকে দেশে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শুধু সুচরিতা নন এদেশের বহু মামলায় নারীরা তাঁদের অধিকার তো দূরের কথা, নিজের সম্পত্তিটুকুও হাতে পান না। বছরের পর বছর ধরে মামলা চলে কিন্তু সুচরিতারা বিচার পান না।