R G Kar: সন্দীপকে জেরার পর কি সিবিআই রিপোর্টে ‘বড় নাম’? সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খাম জমার আগেই তৃণমূলের কৌশলী অবস্থান
R G Kar: সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশের আগে চাপ বাড়ানোর কৌশল তৃণমূলের। ধর্ষণ খুনে কি একাধিক ব্যক্তি জড়িত, সুপ্রিম কোর্টে জানাক সিবিআই। খুনের নেপথ্যে কোনও বড় হাত রয়েছে কিনা, সেটাও জানাক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ খুন মামলায় কালই সুপ্রিম কোর্টে নজর। বৃহস্পতিবারই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। ভাল রিপোর্ট পেশ হতে পারে, ‘বড় নাম’ থাকতে পারে। আশায় বুক বাঁধছেন আন্দোলনকারীরা। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশের আগে চাপ বাড়ানোর কৌশল তৃণমূলের। ধর্ষণ খুনে কি একাধিক ব্যক্তি জড়িত, সুপ্রিম কোর্টে জানাক সিবিআই। খুনের নেপথ্যে কোনও বড় হাত রয়েছে কিনা, সেটাও জানাক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ মোট চারটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আর তা নিয়ে সিবিআই-এর ওপর কার্যত চাপ তৈরি করেছেন।
কুণালের বক্তব্য অনুযায়ী,
প্রথমত, সিবিআই ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্টভাবে জানাক, এক, কলকাতা পুলিশ যাকে ধরেছিল ধর্ষণ খুনে, সে একাই ছিল? নাকি এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত?
দ্বিতীয়ত, এই ধর্ষণ খুন, কোনও পৈশাচিক, নারকীয় বিচ্ছিন্ন ঘটনা? নাকি এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে? অন্য কোনও কারণে ঘটনাকে ঘটিয়েছে?
তৃতীয়ত, যদি সিবিআই কোর্টে বলে, প্রথমে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য প্লেস অফ অকারেন্সে বিকৃতি ঘটানো হয়েছে বলে, আমরা তদন্ত এগোতে পারছি না, সেক্ষেত্রে স্পষ্ট তথ্য দিয়ে জাস্টিফাই করতে হবে, কেন তাঁরা এ কথা বলছেন?
চতুর্থত, প্লেস অফ অকারেন্সে প্রাথমিক বিকৃতির জন্য তাঁদের তদন্ত এগোতে পারছে না, তাহলে সেই প্লেস অফ অকারেন্স কাদের কাদের দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই কেন ব্যবস্থা নেয়নি আর কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে?
এই বিষয়গুলো একটি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে সামনে এনেছেন কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতার এবং দীর্ঘ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পরে সিবিআই যে রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে ওই দিন পেশ করতে চলেছে, তাতে অনেক ‘প্রভাবশালী’র নাম থাকতে পারে বলে সূত্রের দাবি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বেশ অনেকটাই চাপ তৈরি করছে শাসকশিবির।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে উল্লেখ থাকবে রিপোর্টে। আরজি কর বিল্ডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, অকুস্থলের সঙ্গে যুক্ত, নিরাপত্তারক্ষীরা, পুলিশকর্মী-সহ ৮০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ক্রাইম সিন থেকে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত নমুনা সিবিআই সংগ্রহ করতে পারেনি বলে খবর। সেই বিষয়টিও আদালতে উল্লেখ করা হতে পারে সিবিআই-এর তরফে। উল্লেখ্য, টেকনিক্যাল এভিডেন্স, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মনে করছেন, আরও অনেক কিছু এখনও লুকানো রয়েছে, তা বার করতে সময় লাগবে। ধৃতের ডিএনএ- এ টেস্টের পর সিএফএসএলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত ছাড়া সরাসরি আর কারোর জড়িত থাকার উল্লেখ নেই। সেই বিষয়টি সিবিআই আদালতে উল্লেখ করতে পারে। তবে সিবিআই-এর দাবি, ধৃত প্রভাবশালী ছিলেন। কলকাতা পুলিশের একাংশের মদতেই এত প্রভাব। ১০ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করতেও সময় লাগবে। তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনই দিতে পারছে না বলে আদালতে উল্লেখ করবে সিবিআই।