Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shankar Ghosh On Manoranjan Byapari: ‘আমি তো ভাবছি ওরা কবে রাজ্যের জন্য আলাদা নোটের দাবি করে!’

Shankar Ghosh On Manoranjan Byapari: মনোরঞ্জনের আরও যুক্তি, "বাঙালি জাতি সাহিত্য-সংস্কৃতিতে মেধায় একটি উন্নত জাতি হিসাবে পরিচিত। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। ধ্রূপদি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে, পতাকা রয়েছে। অনেক রাজ্যের রয়েছে।"

Shankar Ghosh On Manoranjan Byapari: 'আমি তো ভাবছি ওরা কবে রাজ্যের জন্য আলাদা নোটের দাবি করে!'
মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে কটাক্ষ শঙ্কর ঘোষেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2025 | 3:30 PM

কলকাতা: রাজ্য সঙ্গীত ও রাজ্য দিবস চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৷ এবার বাংলার জন্য আলাদা পতাকার দাবি উঠল ৷ দাবি তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ বুধবার বিধানসভায় মনোরঞ্জনের এই দাবি নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। সরব বাম-বিজেপি সকলেই।

কেন বাংলার জন্য আলাদা পতাকার দাবি করলেন মনোরঞ্জন?

বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “প্রয়োজন ও অপ্রয়োজন এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একটা জাতি, তার ভাষা, তার সাহিত্য-সংস্কৃতি সেই নিয়ে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে। যে জাতির ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি শক্তিশালী, সারা পৃথিবীতে সেই জাতি শক্তিশালী জাতি হিসাবে পরিগণিত হয়।”

তাঁর আরও যুক্তি, “বাঙালি জাতি সাহিত্য-সংস্কৃতিতে মেধায় একটি উন্নত জাতি হিসাবে পরিচিত। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। ধ্রূপদি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে, পতাকা রয়েছে। অনেক রাজ্যের রয়েছে। আমাদের যখন রাজ্য সঙ্গীত মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় জাতিকে গর্বিত করার জন্য উপহার দিয়েছে। তাই সবার কাছে আমি একটা আবেদন রেখেছি, আমাদের রাজ্য সঙ্গীত আমরা পেয়েছি, আমাদের রাজ্যের জন্য একটা পতাকার ভাবনা চিন্তা করা হোক। যে পতাকার মধ্যে দিয়ে বাঙালির কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রকাশ পায়। এবার সকলে সেটা ভেবে দেখে যদি যথার্থ মনে করেন মানবেন, না মনে করলে মানবেন না।”

এই নিয়ে এখন তুমুল রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসব কথাবার্তা শুনলে খুশি হন। কারণ ওনার একটা স্বপ্ন ছিল, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। প্রধানমন্ত্রী না হয়েও, তাঁর মতো সুখ ভোগ করার সুপ্ত বাসনা, সেটাকে একটু সামনে নিয়ে আসা। তাতে মনোরঞ্জনবাবুও একটু দলের মধ্যে শ্বাস নিতে পারবেন। হয়তো এই কারণে বলতে পারবেন। আমি তো ভাবছি, ওরা তো এবার হয়তো আলাদা নোটের দাবি করবে।”

মনোরঞ্জনের এই দাবি নিয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত।  বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর ইতিহাসটা ভুলে গিয়েছেন হয়তো। উনি বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে এপারে এসেছেন। বাংলাদেশে থেকে সেকুলারিজম দেখাতে পারেননি। এখন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা রাষ্ট্র করার কথা উনি চিন্তাভাবনা করছেন।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সঙ্গীতও হয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্য পতাকা করার পর রাজ্য সংবিধানও প্রায় আলাদা। যেখানে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন হবে। সবই আলাদা হয়ে যাক। উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন, মুখ্যমন্ত্রীকে ওনাকে কী যুক্তিতে দেখেন, দেখুন সেটা।”