AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CV Ananda Bose: রাজ্যপাল বোসের গতিবিধিতে নজরদারি? রাজভবন সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি

Governor CV Ananda Bose: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গতিবিধির উপর কি নজরদারি চালানো হচ্ছে? রাজভবন সূত্রে এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।

CV Ananda Bose: রাজ্যপাল বোসের গতিবিধিতে নজরদারি? রাজভবন সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ফাইল ছবি)Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2023 | 12:00 AM
Share

কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণে এবার নয়া মাত্রা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গতিবিধির উপর কি নজরদারি চালানো হচ্ছে? রাজভবন সূত্রে এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। রাজভবন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর গতিবিধির দিকে সন্দেহ রয়েছে। আপাতত তাঁদের রাজভবনে যেতে বারণ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

রাজভবন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এই বিষয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরেরও নজরে আনা হয়েছে। রাজভবনের দাবি, এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে খবর। রাজ্যপাল বোস এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চান বলেও রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে।

জগদীপ ধনখড় পরবর্তী জমানায় সিভি আনন্দ বোস যখন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন, শুরুর দিকে রাজ্য-রাজভবন সম্পর্ক বেশ মসৃণই ছিল। রাজ্যপালকে বাংলার সঙ্গে আরও আপন করে নিতে, তাঁর হাতখড়ি দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য-রাজভবন সম্পর্ক ক্রমেই অবনতি হয়েছে।

যে শিক্ষামন্ত্রী এককালে রাজ্যপালের পাশে বসে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেই ব্রাত্য বসুই এখন প্রায় নিত্যদিন নিশানা করছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সেই সংঘাতের বাতাবরণ আরও তীব্র হয়েছে। রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা একেবারেই না-পসন্দ সরকার পক্ষের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন সাম্প্রতিক অতীতে।

এদিকে ধূপগুড়ির বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ এখনও হয়নি। তা নিয়েও বিস্তর চর্চা চলছে। সেখানেও রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাতের তত্ত্ব উঠে আসছে। এসবের মধ্যেই রাজভবন সূত্রে এই চাঞ্চল্যকর দাবি, সেই সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।