SSC: ‘সংবিধানেই রয়েছে ৫ অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু ১ নিরপরাধ যেন শাস্তি না পায়, আজ আমরা ১৯ হাজার নিরপরাধ বলি হলাম’

SSC: চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে অযোগ্যরা যেমন রয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীরাও তো রয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাতারাতি চাকরিহারা তাঁরাও। এবার তারই প্রতিবাদে আন্দোলনে বসলেন 'যোগ্য' চাকরিহারারা। ধর্মতলায় জমায়েত করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করার কথা বলেছেন।

SSC: 'সংবিধানেই রয়েছে ৫ অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু ১ নিরপরাধ যেন শাস্তি না পায়, আজ আমরা ১৯ হাজার নিরপরাধ বলি হলাম'
যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বেতন দেবে সরকারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2024 | 2:00 PM

কলকাতা: স্কুলের চাকরিতে এবার আন্দোলনে নতুন মঞ্চ। এবার আন্দোলনে সদ্য চাকরিহারারা। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে। তাতে গ্রুপ- সি, গ্রপ-ডি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে অযোগ্যরা যেমন রয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীরাও তো রয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাতারাতি চাকরিহারা তাঁরাও। এবার তারই প্রতিবাদে আন্দোলনে বসলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। ধর্মতলায় জমায়েত করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করার কথা বলেছেন।

শহরে আজ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি আশপাশে। ফুটছে শহর। আর সেই তেতে থাকা ‘কড়াইয়ে’ তা দিচ্ছে এই আন্দোলন। রোদের মধ্যে শয়ে শয়ে ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা ধর্মতলায় জড়ো হয়েছেন। এসেছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-প্রান্ত থেকে। হুগলি থেকে আসা এক শিক্ষক বলেন, “আমরা অযোগ্য সেটা প্রমাণ করে বার করে দিক। আমার বিরুদ্ধে তো কোনও অভিযোগ নেই। ওএমআর ম্যানুপুলেট হয়েছে। এটা কোনও রায় হল? ১৯ হাজারের তো কোনও দোষ নেই। যেখানে বিচার ব্যবস্থাতেই বলা রয়েছে, পাঁচ জন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু এক জন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। এখানে ১৯ হাজার নিরপরাধী শাস্তি পেয়ে যাবে? কাদের বাঁচানোর জন্য আমাদের বলিতে চড়ানো হয়েছে?” তিনি জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। এই রায় আরও একবার বিবেচনা করে দেখার কথা তাঁরা বলছেন।

আরেক চাকরিহারা প্রার্থী বলেন, “আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি, এই রায় একেবারেই অন্যায্য। ১৯ হাজার সৎকে বলি দেওয়া হল ৫ হাজার সৎকে বাঁচানোর জন্য।”  আরেকজনের কথায়, “এটা আসলে ঠগ বাঁচতে গিয়ে গাঁ উজাড় হয়ে গেল। আমরা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে এই জায়গায় এসেছি। আমাদের পড়াশোনাটা দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমরা এই জায়গায় এসেছি। আমার কাছে আমার ওএমআর শিটও রয়েছে। আমার সঙ্গে আমার বয়স্ক বাবা-মা, আমার আড়াই বছরের ছেলে সবাই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।”

পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে এসেছেন এরকম এক শিক্ষক বললেন, “রায়টা হয়েছে সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই। এসএসসি-র দোষেই আমরা আজ পথে বলেছি। এসএসসি এক-এক জায়গায় এক-এক রকমের হলফনামা জমা দিয়েছে। এটা পুরোপুরি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের পথে বসাল। “