AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta Highcourt: ‘BJP-র বিচারালয়, রায় বেআইনি’, মমতার বক্তব্যে সরব অতীতের দুই ‘ধর্মাবতার’

Calcutta High Court: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, "যোগ্য থাকার পরও কেউ যদি চাকরি হারান তিনি নিজেরটা নিজে বুঝে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ আমি দাবি করেছি।" বিজেপি প্রার্থী আরও বলেছেন, "উনি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন জেনে বুঝে।

Calcutta Highcourt: 'BJP-র বিচারালয়, রায় বেআইনি', মমতার বক্তব্যে সরব অতীতের দুই 'ধর্মাবতার'
মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে সরব দুই 'ধর্মাবতার'Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2024 | 1:54 PM
Share

কলকাতা: চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রায় ‘বেআইনি’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ‘বিজেপির বিচারালয়’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। এবার এই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্রমাগত বিচারপতিদের অপমান করে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই যোগ্যতা নেই। অপরদিকে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে। আদালতের রায় বিপক্ষে গেলেই বিচারপতিরা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এমন চিন্তাভাবনা থাকা উচিত নয় বলেও জানান তিনি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “যোগ্য থাকার পরও কেউ যদি চাকরি হারান তিনি নিজেরটা নিজে বুঝে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ আমি দাবি করেছি।” বিজেপি প্রার্থী আরও বলেছেন, “উনি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন জেনে বুঝে। উনি ক্রমাগত বিচারপতিদের অপমান করেছেন। ওনার কোনও যোগ্যতাই নেই। আর বিচারপতিদের আক্রমণ করা ওনার অভ্যাস। উনি জানেনই না কোন প্রতিষ্ঠানের কী মর্যাদা। কাকে আক্রমণ করা যায় কাকে করা যায় না।”

অপরদিকে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কোনও রায় যদি সরকারের বিপক্ষে যায়,সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতিদের রাজনৈতিক ভাবে বিচ্যুতি ঘটেছে এই ভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য করা উচিত নয়। এভাবে আক্রামণ করে তিনি সংবিধানের মূল কথা আইনের শাসনকেই অসম্মান করেছেন। তার প্রতি অনাস্থা পোষণ করেছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শোভনীয় নয়।” অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরও জানান, “রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারেন। কিন্তু উনি যেটা বলেছেন এটা বিজেপির বিচারালয় হয়ে গিয়েছে। বিজেপি-র লোকেরা বসেছে। এই ধরনের কথা বিচারপতি বা বিচারালয় সম্বন্ধে বলা যায় না। বিরুদ্ধের রায় মেনে নিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর দিনাজপুরের প্রচারে গিয়ে কার্যত আদ্যপান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে?” কখনও আবার শুনিয়ে দেন, “সব তো সরকারি টাকায় চলেন, সরকারের গাড়িতে চড়েন, সরকারি নিরাপত্তা পান। আমরা আপনাদের সম্মান করি।” তবে মমতা এও বলেছেন, তিনি কোনও বিচারপতিদের উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করছেন না। কিন্তু পরক্ষণেই দেখা যায় তিনিই আবার বলছেন, “এটা বিচারপতিদের দোষ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ। তারা বিজেপির লোক দেখে দেখে এখানে বসিয়েছেন। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে যা বলে দেয় যাতে তারা সেই ড্রাফট করে দেয়।” এভাবে বিচারপতিদের আক্রমণ নিয়ে এরপরই সরব হন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।