Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলম থেমে যায় আজকের দিনে

পাঠক ভুলে যায়নি সুচিত্রা ভট্টাচার্যকে (Suchitra Bhattacharya)। এখনও তাঁর একাধিক বই নিয়মিত সংস্করণ (Edition) হয়।

সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলম থেমে যায় আজকের দিনে
সুচিত্রা ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 9:01 PM

কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই লিখতে ভালবাসতেন সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য (Suchitra Bhattacharya)। প্রথমে ছড়া-কবিতা পরে গল্পে মনোনিবেশ করেন। তাঁর লেখার প্রথম পাঠক ছিলেন বাবা। বাবা তাঁকে উৎসাহ দিতেন খুব। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ছোটবেলার লেখালিখি থেমে (Stopped) যায় ১৮ বছর বয়সে। কারণ, হায়ার সেকেন্ডারির পরেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। সংসার সামনে সেভাবে আর লেখালিখিতে মন দিতে পারেননি তিনি। পরে আবার ফিরে এসেছিলেন লেখায়।

আজ সুচিত্রা ভট্টাচার্যের প্রয়াণ দিবস। ২০১৫ সালের এই দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। একটা সময় বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেছিলেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য। পরে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে আধিকারিকের চাকরি পান। সেই সময় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতে যেতেন। তখনই প্রেমেন মামার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। তাঁর উপন্যাস ‘হেমন্তের পাখি’তে রয়েছে হেমেন মামা। এই হেমেন মামারই কিছুটা অংশ প্রেমের মামা। এ কথা জানিয়েছিলেন লেখিকা স্বয়ং।

এক সময় তাঁর গল্প উপন্যাস প্রবল জনপ্রিয়তা পায়। ‘অলীক সুখ’, ‘কাচের দেয়াল’ ইত্যাদি উপন্যাস রীতিমতো সাড়া ফেলে পাঠক মহলে। তাঁর লেখায় আধুনিক সমাজ, মূল্যবোধের পরিবর্তন এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ভাঙা-গড়া উঠে এসেছে। সমাজে মেয়েদের অবস্থানও তাঁর লেখার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।

২০০৪ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে ২৪ ঘণ্টাই মনোযোগ দেন লেখালিখির কাজে। শেষ জীবনে তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তবু তিনি ল্যাপটপে বাঁ হাতের আঙুল দিয়ে টাইপ করে লেখালিখি করতেন। লেখিকার কলম থেমে যায় ২০১৫ সালের আজকের দিনে। পাঠক ভুলে যায়নি সুচিত্রা ভট্টাচার্যকে। এখনও তাঁর একাধিক বই নিয়মিত সংস্করণ হয়।