‘সংবিধান মেনেই সফর করছি’, মমতার দাবি মানতে পারছেন না বলে জবাবি চিঠি রাজ্যপালের

আগামিকাল শীতলকুচি যাবেন রাজ্যপাল। তার আগে সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলে তোপ দাগেন মমতা। তারই জবাব দিলেন রাজ্যপাল।

'সংবিধান মেনেই সফর করছি', মমতার দাবি মানতে পারছেন না বলে জবাবি চিঠি রাজ্যপালের
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 9:34 PM

কলকাতা: রাত পোহালেই রাজ্যপালের শীতলকুচি সফর। আর তার আগেই ফের সম্মুখ সমরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এক দিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রোটোকল না মেনে জেলা সফরের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, আর তারই জবাবে সংবিধানকে সামনে রেখেই রাজ্যপাল সাফ জানালেন, মানুষ যখন কষ্টে আছে, তখন এই প্রোটোকল মানার সময় নয়।’

জবাবি চিঠিতে কী লিখলেন রাজ্যপাল?

বুধবারই রাজ্যপালকে চিঠি দেন মমতা। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে ধনখড় লিখেছেন, ‘আমি অবাক যে আপনার মতো একজন নেত্রী কী ভাবে ভাবলেন যে রাজ্যপালের সফরের জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশ প্রয়োজন? মানুষের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার জন্য যখন আমি সফর করতে চাইছি, তখন এই নিয়ম মানার সময় নয়। আমি আপনার দাবি মানতে রাজি নই।’

মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর দাবি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের দাবি, শপথ নেওয়ার সময় বলেছিলাম, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সবসময় পাশে থাকব।’ সেই প্রতিশ্রতি রক্ষার জন্যই রাজ্যের হিংসা কবলিত এলাকায় সফর করছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মমতাকে তিনি বলেছেন, ‘সাংবিধানিক শপথের মর্যাদা রাখুন। মানুষ কষ্টে আছে সেই বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া দরকার। সবরকম সহযোগিতা আমার তরফ থেকে পাবেন।’

কী লিখেছেন মমতা?

১৩ মে রাজ্যপাল যে কোচবিহার সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে কয়েক দশকের প্রোটোকল ভাঙা হয়েছে। মমতার চিঠিতে দাবি, ‘রাজ্যপালকে কোনও জেলা সফর করতে হলে সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপালের সচিব।’ এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সফরের আগে রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন সচিব। কিন্তু শীতলকুচি সফরের ক্ষেত্রে সেই প্রোটোকল ভাঙা হয়েছে বলেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে রাজ্য পরিদর্শনে এসেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও। এই বিষয়ে তৎপর হয়ে ধনখড় রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের তলবও করেছেন। এবার নিজেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পরিস্থিতি দেখবেন। বৃহস্পতিবারই হেলিকপ্টারে কোচিহারের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।