Suvendu Adhikari: RBI-এর কাছে ১০ হাজার কোটির ঋণ চেয়েছে রাজ্য, দাবি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে যেভাবে রাজ্যের ঋণের বোঝা বেড়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি তথ্যও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
কলকাতা: রাজ্য সরকারকে একের পর এক আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এবার তাতে নতুন সংযোজন, রাজ্যের ঋণের বোঝা সংক্রান্ত ইস্যু। শুক্রবার একটি টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, রাজ্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে। ফিসক্যাল রেসপন্সেবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী ঋণ নেওয়ার যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে, তা ভাঙছে রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকার ঋণের বোঝা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে যেভাবে রাজ্যের ঋণের বোঝা বেড়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি তথ্যও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
Govt of WB has raised a loan request to RBI for an amount of ₹ 10000 crore. Unfortunately, WB has already breached its borrowing limit under the Fiscal Responsibility & Budget Management (FRBM) Act. It’s also alarming that Bengal’s debt burden’s approximately Rs 6 lakh crore: pic.twitter.com/ffcEStMf9Y
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 28, 2022
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ফাইল পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই ফাইল ইন্টারনাল ফিনান্সে আটকে রয়েছে নর্থ ব্লকে। সেই ১০ হাজার কোটি টাকা যদি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেন, তাহলে বেতন হবে। আর যদি এই ঋণের অনুমোদন না পাওয়া যায়, তাহলে শুধু এনসিসি কেন, বেতন বন্ধ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।”
খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য মোটেই ভাল চোখে দেখছে না রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে বলেন, “এটা বিরোধী দলনেতার কাজ নয়। রাজ্যটা আমাদের সবার। দ্বিতীয়ত আমি জানি না শুভেন্দু অধিকারী এই ফিগারগুলি কোথা থেকে পাচ্ছেন। আমি যতদূর জানি এই ফিগারগুলি সঠিক নয়। যদিও আমি অর্থমন্ত্রীর নই বা অর্থ দফতরের সঙ্গে যুক্ত নই। একটি অ্যাবনর্মাল ফিগার উনি বলছেন। রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের বিরোধী দল ও শাসক দল সমন্বয় রেখে কাজ করে। কীভাবে রাজ্য উপর দিকে উঠবে, তার জন্য বিরোধী দল সাহায্য করে। বিদ্বেষমূলক কথা বলে এবং অসম্মানজনক কথা বলে রাজ্যের সম্মানহানি চেষ্টা করছেন উনি।”