Suvendu Adhikari: ‘ওই মানিকই দাঁড়িয়ে থেকে…’, মুর্শিবাদের অশান্তিতে শুভেন্দুর মুখে মানিকের নাম… কে এই মানিক?
Suvendu Adhikari: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, কারা মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকাচ্ছে, তাদের নাম তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। মুর্শিদাবাদ থেকে নতুন করে আর একটাও ইট পড়ার শব্দ আসবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

কলকাতা: বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা দাবি করেছিল মুর্শিদাবাদের অশান্তির নেপথ্যে বাংলাদেশি যোগ থাকতে পারে। অন্যদিকে, শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকিয়ে আবার ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কথাও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, কারা মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকাচ্ছে, তাদের নাম তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। মুর্শিদাবাদ থেকে নতুন করে আর একটাও ইট পড়ার শব্দ আসবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
শুভেন্দু বললেন, “আমরা সমস্ত তালিকা প্রকাশ করে দেব। সুতি, জঙ্গিপুর, ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ চারটি থানা এলাকায়, যারা করেছে, তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত।” আর সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ‘মানিক মণ্ডল’ নামের কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “একজন দাঁড়িওয়ালা লোক রয়েছে, নন্দীগ্রামে আমার বিরুদ্ধে লিফলেট দিতে গিয়েছিল, মানিক মণ্ডল, তারাই দাঁড়িয়ে থেকে অশান্তি পাকাচ্ছে।” যদিও শুভেন্দুর দাবি প্রসঙ্গে মানিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কে এই মানিক মণ্ডল?
নন্দীগ্রামে কান পাতলে শোনা যায়, মানিক এলাকায় মানিক ফকির নামে পরিচিত। জমি আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তিনি। ছোট ছোট তথ্যচিত্র করেছিলেন সে সময়ে। তৎকালীন সরকারের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে পড়ে থেকেছিলেন। বহুবার তাঁকে জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষবারে তাঁকে নন্দীগ্রামে দেখা গিয়েছে ২০২৩ সালে। সে বছর ১৫ অগাস্ট জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মানিককে।
মুর্শিদাবাদের অশান্তির খবরে সেই মানিকের নামই উঠে এল শুভেন্দুর মুখে। মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “আমরা চাই এনআইএ দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করুক। বিএসএফের সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খণ্ড, সল্টলেক থেকে ডেল্টা-কোবরা বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। মুর্শিদাবাদ থেকে আরেকটাও ইটের আওয়াজ পাবেন না। বাকিটা জব্দ করতে এনআইএ আসার দরকার।”





