Recruitment Scam: ২১ কোটির রহস্যভেদ করতে তৎপর ED, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ
Recruitment Scam: দিন কয়েক আগে ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল তাপসের দুজন অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন কিছু তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা: নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, মোটা টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের ডিএলএড কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেই ইস্যুতেই আরও তথ্য জানতে এবার ফের তলব করা হল মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। শনিবার সকালেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁর অ্যাকাউন্ট্যান্টকেও তলব করা হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। কীভাবে ওই টাকা মনিকের হাতে গিয়েছিল, সেটাই জানতে চায় ইডি।
দিন কয়েক আগে ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল তাপসের দুজন অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন কিছু তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাপসকে।
অভিযোগ, ডিএলএড কোর্সের পড়ুয়াদের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকদের সামনেই এই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তাপস। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে এভাবে অফলাইনে ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে। আর সেই টাকা নাকি গিয়েছে মানিকের কাছেই। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক নাকি রীতিমতো লোক পাঠিয়েই সেই টাকা আনাতেন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অফলাইনে ভর্তি করতে প্রতি ছাত্র পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ইডি-র দাবি, অনলাইনে ভর্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। তার মধ্যে যাঁরা ভর্তি হতে পারতেন না, তাঁদের ভর্তির বন্দোবস্ত করতেন মানিক। সরকারি পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে পড়ুয়াদের অফলাইনে ভর্তি করা হত। ঘুরপথে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যাটা কলেজ পিছু ২০-২২ জন। এ সব তথ্য সম্পর্কেই এবার আরও বেশি নিশ্চিত হতে চায় ইডি।