TET: টেট উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর! আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাচ্ছেন ৭৩৮ জন, জারি হল বিজ্ঞপ্তি
TET: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন
কলকাতা: প্রাইমারি টেটে ৭৩৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল বোর্ড। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে প্রশ্নপত্র ভুল সংক্রান্ত যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের নিরিখে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই যে ৭৩৮ জনের তালিকা যে প্রকাশ করা হল, তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়, তাতে প্রশ্নভুলের একটা বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকে অকৃতকার্য হন। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে যান বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারেই এদিন পর্ষদ এই তালিকা প্রকাশ করল।
এর আগে ৪০০ জনেরও বেশি চাকরি প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফের ৭৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হল। এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাবেন তাঁরা। যদিও এ ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরি প্রার্থী, তাঁদের প্রশ্ন ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ পেতে ২০২১ কেটে গেল! চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার পর সাত বছর সময় লেগে গেল নিয়োগ পেতে।
যদিও এ নিয়ে পর্ষদের ব্যাখ্যা, আইনি জটিলতা ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই তারা দ্রুততার সঙ্গে তালিকা প্রকাশ করল এবং একই গতিতে নিয়োগও করা হবে। আগামী সাতটি ‘ওয়ার্কিং ডে’-এর মধ্যেই চাকরি পাবেন প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
কিছুদিন আগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে বিচারপতি (Calcutta High Court) সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ তা করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল বলেই মনে করে আদালত। এ নিয়ে মামলাও হয়। পর্ষদ সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রত্যেক মামলাকারীকে জরিমানা দেবেন তিনি। পাশাপাশি গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। সেই মতো সোমবারই হাজিরা দেন তিনি। এরপরই ১৪ সেপ্টেম্বর ৪৬৭ জন টেট উত্তীর্ণকে স্ক্রুটিনি, তথ্য যাচাই ও ভাইভার জন্য ডেকে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: LIVE: বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, চ্যাংদোলা করে তোলা হচ্ছে কর্মীদের