Election Commission: আজই বিকেলে সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন
আজ বেলা তিনটে নাগাদ মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যে বৈঠক হচ্ছে, সেই দফতরেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে রাজ্যে যে ৮০ হাজার ৬৮১টি বুথ রয়েছে সেটা বেড়ে ৯৪ হাজার ৪৯৭টি বুথ হবে।

কলকাতা: শুক্রবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এবার বুথের সংখ্যা আরও বাড়ছে। সূত্রের খবর, কোথায় কত বুথ হতে পারে, হাইরাইজ বুথগুলিই বা চলবে কীভাবে? তার রূপরেখা তৈরি করতেই এদিনের সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কমিশন।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যে বৈঠক হচ্ছে, সেই দফতরেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে রাজ্যে যে ৮০ হাজার ৬৮১টি বুথ রয়েছে সেটা বেড়ে ৯৪ হাজার ৪৯৭টি বুথ হবে। অর্থাৎ, ১৩ হাজার ৮১৬টি বুথ এই রাজ্যে বাড়ছে। ১২০০-র বেশি যে বুথগুলোতে ভোটার রয়েছে, সেখানেই এই বুথ বাড়বে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্য রাজনৈতিক দলের কোনও মতামত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করতে পারে কমিশন।
কারণ, বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে বুথগুলি এমন জায়গায় করা হোক যেখানে মানুষ পৌঁছতে পারে। কারণ, বহু জায়গায় দেখা যায় যে বুথে যাওয়ার আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি জেলাতে ভোট সংক্রান্ত যে বৈঠক হয়েছে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলি কে কী বলেছে সেই মিনিটস ধরে বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, হাইরাইজ বুথ অর্থাৎ বহুতলে বুথ তৈরির কথা এবার ভেবেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, মূলত শহর কলকাতার কথা মাথায় রেখেই এই ভাবনা শুরু হয়েছে। তবে বাস্তবায়িত হলে তা হবে গোটা রাজ্যেই। যে সমস্ত বহুতলে ৪০০ বা তার অধিক বাসিন্দা থাকেন সেখানেই বুথ করতে পারে কমিশন। বিগত কয়েক বছরে কলকাতার প্রায় সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য বহুতল। হু হু করে বেড়েছে শহরের বাসিন্দাদের সংখ্যাও। এদিকে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার তুলনায় শহর কলকাতার ভোটাদানের হার বরাবরই কম। তাই সেই ক্ষেত্রে এবার বদল আনতে চাইছে কমিশন। এইনিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
