Congress: ‘কংগ্রেস ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কোনও উন্নতি হবে না’, ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে গর্জে উঠলেন শুভঙ্কর
Chatra Parisad Foundation Day: এদিন শুভঙ্কর ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন অফ্ ইন্ডিয়ার জাতীয় সভাপতি বরুণ চৌধুরী।

কলকাতা: ছাত্র পরিষদের ৭২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে মহাজাতি সদনে হয়ে গেল ছাত্র সমাবেশ। হাজির ছাত্র পরিষদের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃত্ব। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের অনেক প্রাদেশিক নেতৃত্বও। ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। সেখানের রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজ্য ছেড়ে পড়ুয়াদের বাইরে চলে যাওয়া নিয়ে সরব হন। মঞ্চ থেকেই খানিক ক্ষোভের সুরে বলেন, “মা-বাবারা মনে করছেন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পর এ রাজ্যে আর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জায়গা নেই। আজকে প্রেসিডেন্সি ছেড়ে ছেলেরা চলে যাচ্ছে। কারণ সঠিক সময়ে এখানে রেজাল্ট বের হচ্ছে না। স্কুল সার্ভিস, কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হচ্ছে না। পুরো শিক্ষা ব্য়বস্থার এমন অন্তর্জলি যাত্রা হয়ে গিয়েছে যে এর কোনও শেষ এর কোনও শুরু পশ্চিমবঙ্গে নেই।”
ফের একবার সুর চড়াতে দেখা যায় পুজোর অনুদান নিয়ে। বিকল্প পথও বাতলে দেন। বলেন, “৪৫ কোটি টাকা করে প্রতিমাসে লস করছে ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের প্রজেক্ট। তার ভিতরে বিস্তৃর্ণ জায়গা রয়েছে। ওখানে তো বেকার ভাইদের জন্য একটা করে ক্লাস্টার তৈরি করে দিতে পারে। যে সমস্ত ক্লাব আজ যারা দুর্গাপুজো করছে সেই সব ক্লাবের ছেলেরা যদি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে একত্রিতভাবে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটা ইউনিট হয় তাহলে পরের বার আর দুর্গাপুজোকে টাকা দিতে হবে না। ওই বেকার ভাইযেরা পরের বার নিজেরাই দুর্গাপুজো করতে পারবে। এই পরিকল্পনা কংগ্রেস ছাড়া কেউ করতে পারবে না।
এদিন শুভঙ্কর ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন অফ্ ইন্ডিয়ার জাতীয় সভাপতি বরুণ চৌধুরী। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীও। যদিও শুভঙ্করের স্পষ্ট দাবি, “কংগ্রেস ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কোনও উন্নতি হবে না। সেই উন্নতিটা তাঁরাই করতে পারবে যাঁরা বুক চিতিয়ে গুলিটা নিতে পারবে। রক্ত ঝরাতে পারবে। তার নাম ছাত্র পরিষদ।”
