Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গরু বা কয়লাপাচারে যেন নাম না দেখি, মমতার শাসানি নেতাদের, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যে তিনি দলের সব ধরনের ফাটল মেরামত করে ফেলতে চান, তার একটা বড় ইঙ্গিত আজকের বৈঠকে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি ঘোষণার মাধ্যমেই সাফ করেছেন মমতা।

গরু বা কয়লাপাচারে যেন নাম না দেখি, মমতার শাসানি নেতাদের, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Jun 05, 2021 | 10:42 PM

কলকাতা: দুর্নীতি হোক, বা পাচার কাণ্ড। যদি কোনও তৃণমূল নেতার নাম এসবে জড়ায়, তবে আর রক্ষে নেই। নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। শনিবার তৃণমূল ভবনে মেগা বৈঠকে বসে খুব স্পষ্টভাবে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমফান পরবর্তী অধ্যায়ের কথা মাথায় রেখে ইয়াসের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ বিলি শুরু হওয়ার সময়ে এ ভাবেই উঁচু, মাঝারি ও নীচুতলার নেতাদের কার্যত শাসানি দিয়ে রাখলেন নেত্রী।

বিগত কয়েক বছরে যেভাবে সারদা, নারদ বা সাম্প্রতিক সময়ে গরু ও কয়লা পাচারের মতো কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে, তা যে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই কালিমালিপ্ত হয়েছে সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে মমতার এ দিনের কথায়। তিনি পষ্টাপষ্টিভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যাদের নাম এই ধরনের কাণ্ডে জড়াচ্ছে তাঁদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। এখানেই স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায়, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে আগেও তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা। ইয়াসের ত্রাণ বিলি পুরোদমে শুরু হওয়ার আগেই এ বারও অনেকটা একই সুর নেত্রীর কণ্ঠে।

অন্যদিকে, নির্বাচনের আগে যেভাবে গরুপাচার এবং কয়লাপাচারের মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি আক্রমণে শান দিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না তৃণমূল। কারণ এই মুহূর্তে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিজেপির হাতে কোনওভাবেই অস্ত্র তুলে দিতে নারাজ নেত্রী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যে তিনি দলের সব ধরনের ফাটল মেরামত করে ফেলতে চান, তার একটা বড় ইঙ্গিত আজকের বৈঠকে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি ঘোষণার মাধ্যমেই সাফ করেছেন মমতা।

আরও পড়ুন: তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’, মন্ত্রীদের ছাড়তে হবে লালবাতি গাড়ি, কড়া নির্দেশ মমতার

আরও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। আমফানের ত্রাণ বিলির সময় যেভাবে পঞ্চায়েত ও দলীয় নেতাদের শামিল করা হয়েছিল, এ বার সেই পথে হাঁটা হচ্ছে না। বরং ত্রাণ বিলির পুরো দায়িত্বটাই প্রশাসনিক কর্তাদের হাতে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে যাতে নিপাট স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন। ফলে লক্ষ্যটা স্পষ্ট। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে যেভাবেই হোক স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি সরকার রাজ্যে তৈরি করা। কারণ দেশে এই মুহূর্তে কেন্দ্র-বিরোধী সবথেকে উজ্জ্বল রাজনীতিক একমাত্র মমতাই। তাই তাঁর সরকারকে সবার আগে কালিমুক্ত করতেই হবে।

আরও পড়ুন: তৈরি নতুন টিম, ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটাতে কি বেশি জোর দিচ্ছেন মমতা!