Sujata Mondal Khan: ‘পদ্মই পদ্মবন ছেড়ে আসছেন, তাহলে পাঁকে কত গন্ধ!’

Rajib Banerjee Joins TMC: রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এদিকে তোপ দেগেছেন সুজাতার 'প্রাক্তন' স্বামী  ও বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কটাক্ষ হেনে তাঁর দাবি, রাজীববাবু একজন বিজনেসম্যান।

Sujata Mondal Khan: 'পদ্মই পদ্মবন ছেড়ে আসছেন, তাহলে পাঁকে কত গন্ধ!'
রাজীবকে নিশানা সুজাতার, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 7:07 PM

কলকাতা: রাজনীতি জড়িয়ে তাঁর জীবনেও। দলবদল করে ‘একমাত্র আশ্রয়’ ছেড়ে নিজের পৃথক পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি। তবে সেই ‘আশ্রয়’ ছেড়ে আসার নিদারুণ ক্ষত তাঁর মন থেকে মুছে যায়নি। তিনি তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mondal Khan)। এ বার, তৃণমূলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) প্রত্য়াবর্তনকে কেন্দ্র করে তোপ দাগলেন সুজাতা।

তৃণমূল নেত্রী TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে বলেন, “সুজাতা আজ যা ভাবে দুনিয়া কাল তা ভাবে। আমি আগেই বলেছিলাম একে একে সবাই তৃণমূলেই ফিরবে। রাজীবাবু তো সদ্য শুরু। আরও কী কী হয় দেখা যাবে। পদ্মই যদি পদ্মবন ছেড়ে আসেন তাহলে বোঝাই যায় পাঁকে কত গন্ধ! রাজীবের আরেক অর্থ তো পদ্ম…তাইনা!”

এখানেই না থেমে তৃণমূল নেত্রীর আরও সংযোজন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক উদার মনের মানুষ। তাঁরা এতটাই উদার যে একজন বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করে দিলেন। তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনলেন। দ্বিতীয়বার তাঁকে সুযোগ দিলেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে তৃণমূল কংগ্রস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কীরকম। বিজেপির রথের চাকা তো ধসে পড়েছে। এরপর নির্মূল হয়ে যাবে।”

রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এদিকে তোপ দেগেছেন সুজাতার ‘প্রাক্তন’ স্বামী  ও বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কটাক্ষ হেনে তাঁর দাবি, রাজীববাবু একজন বিজনেসম্যান। এমনকী, তাঁকে সেরেল্যাক খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন সৌমিত্র।

নিজের স্বামীর মন্তব্য শুনে যদিও এদিন বিশেষ বিচলিত হতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেত্রীকে। তিনি পাল্টা বলেন, “কে কী বলল আমি জানি না। সেসব ভাবতেও চাই না। তবে এইটুকু বলতে পারি দলের একজন কর্মী হিসেবে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আমার আবেদন একেবারেই বিশ্বাস করবেন না। যাঁকে দলে ফিরিয়েছেন তিনি দুর্দিনে নেত্রীর ভালবাসা পায়ে ঠেলে ক্ষমতার লোভে অন্যত্র গিয়েছিলেন। তাঁকে এই দলে যথেষ্ট ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিত্বও পেয়েছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। অথচ সেসব ছেড়ে তিনি চলে যান। তাঁকে এত জলদি বিশ্বাস  করবেন না, এটুকুই আবেদন।”

তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে, সৌমিত্রের বিরোধিতা না করলেও পুরোপুরি বিরোধী সুরও কিন্তু শোনা যায়নি সুজাতার গলায় অন্তত এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাহলে কি এখনও অবশিষ্ট রয়েছে দাম্পত্যের চোরা প্রেম? সে বিষয়ে যদিও কোনও কিছুই বলেননি তৃণমূল নেত্রী। উল্টে সুজাতা বলেন, “বিষ্ণুপুরে সেভাবে তো বিজেপির আর কোনও জায়গা নেই। হ্যাঁ, আমি ওখানকার মেয়ে। ওখানেই আমার রাজনীতি করা, গড়ে ওঠা। বিজেপির হয়েও আমি লড়েছি। কিন্তু, এখন আর সে সংগঠনের অবশিষ্ট কিছু নেই। আমি তখন প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। নয়ত, ওই চত্বরে বিজেপি যা জিতেছে তাও জিততে পারত না।”

প্রসঙ্গত,  রাজীবের দলে ফেরা নিয়ে যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব যেন কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই তাঁর ‘অভিমান’ প্রকাশ করেছেন। রাজীবের দলে ফেরা নিয়ে বিশেষ কথা বলতে চাননি মদন মিত্র বা অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূলের আদি নেতারা। পাল্টা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজীব চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। বিজেপি শক্তিশালী দল।

আরও পড়ুন: Soumitra Khan: ‘আপনি তো বিজনেসম্যান, কিছুই বোঝেননি…সেরেল্যাক খান মাঝে মাঝে’