‘অনেক কিছু বলতে চাইছে সঞ্জয়…’, প্রথম দিনই আদালতে সেই তিন জনের নামের আভাস দিয়ে রাখলেন আইনজীবী যশ?
R G Kar Case: এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারপতি বসাক আইনজীবী যশ জালানকে প্রশ্ন করেন, "আপনি কি ওকালতনামা পেয়েছেন?" তারপরই সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় বলেন, "উনি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ওনাকে রাখতে চাইছেন না।"
কলকাতা: আরজি করে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের রায়ের আপাতত ফাঁসি চাইছেন না তিলোত্তমার বাবা-মা। কেন, সেটাও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় মূল অপরাধী ধরা পড়ুক, তাদের শাস্তি হোক! নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার পর ঠিক একই যুক্তি খাড়া করে সঞ্জয়ের মামলা লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যশ জালান নামে এক আইনজীবী। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের করা মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সেই আইনজীবী যশ জালান।
এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারপতি বসাক আইনজীবী যশ জালানকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি ওকালতনামা পেয়েছেন?” তারপরই সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় বলেন, “উনি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ওনাকে রাখতে চাইছেন না।”
আইনজীবী যশ তখন বিচারপতিকে বলেন, “অভিযুক্ত অনেক কিছু বলতে চাইছে। কিন্তু বলতে দেওয়া হচ্ছে না।” বিচারপতি তখন আইনজীবী যশকে বলেন, “কিন্তু যেখানে আপনাকে অভিযুক্তই রাখতে চাইছেন না। সেখানে কী থাকে আর….”
এদিন সঞ্জয়ের পক্ষে লিগাল এইডের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত। তিনি বিচারপতিকে বলেন, “আমরা অভিযুক্তের হয়ে দাঁড়াব। আমরা অনুমতি পেয়েছি।
সঞ্জয়ের হয়ে আইনি লড়াই করতে চেয়ে যশ আগেই দাবি করেছিলেন, এই মামলায় তিন জনের নাম সামনেই আসেনি। অন্যদের সামনে এসে গেলে সমস্যা বাড়বে, সেজন্য রাজ্য তড়িঘড়ি সঞ্জয়কে ফাঁসি দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছিলেন। যশ জালান বলেন, “নিম্ন আদালতে ট্রায়াল অনেক দ্রুত করা হয়েছে। এই মামলার মধ্যে তিনজন রয়েছেন, যাঁদের ক্রস এক্সামিনেশন করা হয়নি। তাঁদের নামও উল্লেখ করা হয়নি। সেই নামগুলো সামনে আসা দরকার।” উল্লেখ্য, এদিনের শুনানিতে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি আপাতত চান না বলেই জানিয়ে দেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁরাও জানিয়ে দেন, আসল অপরাধীরা সামনে আসুক, এটাই চান তাঁরা।