BJP on TMC: GST সংস্কারে বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল? বিস্ফোরক জগন্নাথ সরকার
New GST structure: জগন্নাথ বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের উপর থেকে কর লাঘব করেছেন। কৃতিত্ব নিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন বিমায় যে শূন্য জিএসটি হয়েছে তা নাকি তাঁর জন্য। আসলে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সাধারণ মানুষের কর কমানোর এই যে প্রক্রিয়া চলছিল সেখানে সবথেকে বড় অন্তরায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।”

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ ও সায়ন্ত ভট্টাচার্যের রিপোর্ট
কলকাতা: GST সংস্কারে বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল। দাবি বিজেপির। ভোটাভুটির পথে হাঁটতে পরামর্শ দিয়েছিলেন অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তারপরেই পিছু হটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ ভোটাভুটিতে প্রয়োজন ছিল ১১ টি রাজ্যকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি ছিল জিএসটি সংস্কারের ফলে রাজস্ব ক্ষতি হবে। তাই তা না করা। রাজ্যের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে। তারপরে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে স্পষ্ট জানান হয় নতুন জিএসটি কাঠামোর কথা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ সরকার এখন সুর চড়িয়ে বলেছেন, জিএসটি সংস্কার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বিচারিতা এবার আমাদের সামনে আনার সময় হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিমায় শূন্য জিএসটি হওয়ার পরে তৃণমূল দাবি করেছিল তারাই সবার আগে এই দাবি করেছিল। কিন্তু বিজেপির দাবি যে তৃণমূল বাইরে কৃতিত্ব দাবি করছে আর কাউন্সিলের বৈঠকে কর কমানোর বিরোধিতা করেছিল। বিজেপির এই দাবি ঘিরেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়।
বিস্ফোরক দাবি করছেন জগন্নাথ
জগন্নাথ বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের উপর থেকে কর লাঘব করেছেন। কৃতিত্ব নিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন বিমায় যে শূন্য জিএসটি হয়েছে তা নাকি তাঁর জন্য। আসলে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সাধারণ মানুষের কর কমানোর এই যে প্রক্রিয়া চলছিল সেখানে সবথেকে বড় অন্তরায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।” জগন্নাথের সাফ কথা তৃণমূল এই প্রস্তাব পাশ করানোর বিরোধিতা করছিল বারবার। তিনি বলছেন, “তৃণমূল স্পষ্ট বলেছিল আমরা এই প্রস্তাব পাশ করতে দেব। কারণ তাঁদের যে রাজস্ব হ্রাস হবে সেটা কেন্দ্রকে পুষিয়ে দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত নির্মলা সীতারমণ বলেন আপনারা বিরোধিতা করলে আসুন ভোটে।”
নতুন জিএসটি কাঠামোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি প্রায় ৪.৫-৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও কয়লায় সেস পরিবর্তে জিএসটি লাঘু হওয়ায় রাজ্য ৩০০-৪০০ কোটি টাকা পাবে। সেই সঙ্গে সিগারেট , মদ, বিলাসবহুল গাড়ি উপর সিন ট্যাক্স বসায় সেখান থেকে ১-১.৫ হাজার কোটি টাকা আসবে। অর্থাৎ সব হিসাব-নিকেশ শেষে সব মিলিয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। যদিও পণ্য বেশি বিক্রি হলে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে রাজ্য সরকারের। এমনটাই মত জগন্নাথের। এ নিয়ে তাঁর স্পষ্ট কথা, “প্রস্তাব পাশ হলে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়বে, কেন্দ্রীয় সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেই ওরা বিরোধিতা করছিল।”
তবে ছেড়ে কথা বলছে না তৃণমূলও। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলছেন, “সারা দেশে যখন জিএসটি-র প্রস্তাবনা আসে তখন যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তার মাথায় ছিলেন বাংলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁকে মনোনীত করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আসলে রাজনীতির জন্য মিথ্যার বেশাতি করছে। আর বিজেপি যে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে তা আসলে ঠেলায় পড়ে বিড়াল গাছে উঠেছে। আমেরিকা আমাদের উপর প্রচুর ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়েছে। আমেরিকার বাজারে, বিদেশের বাজারে আমাদের প্রোডাক্ট যখন বিক্রি হচ্ছে না তখন বাধ্য হয়ে জিএসটি কমিয়েছে।”
