Adenovirus: এক বছরও ছোঁয়নি বয়স, জ্বর-সর্দি নিয়ে ফের দুই দুধের শিশুর মৃত্যু শহরে
Adenovirus: বেসরকারি সূত্রে খবর, জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে গত ১০ দিনে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তথ্য আরও বলছে, জানুয়ারি থেকে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে সংখ্যাটা ১০১।
কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ দিয়ে বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার। বিসি রায় শিশু হাসপাতালের প্রায় প্রতিনিয়ত মৃতের হার বাড়ছে। অন্যদিকে, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ ছিল ওই শিশুদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা এক পরিবার হারিয়েছে তাদের ১১ মাসের সন্তানকে। জ্বর ও সর্দি-কাশি ছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। রাত ৯ টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় তার। মৃতের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ভর্তির পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের দাবি, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।
জয়নগরে বাসিন্দ মেহেবুব রহমান মোল্লা জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি প্রথম জ্বর আসে তাঁর সন্তানের। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জ্বর নিয়ে ৬ দিন ভর্তি থাকার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার জ্বর আসে গত ৬ ফেব্রুয়ারি। আবারও তাকে ভর্তি করা হয় ১০ দিন পর। পরিবারের লোককে জানানো হয়, অ্যাডিনো পজেটিভ ওই শিশু। শিশুর অবস্থার অবনতি হতে থাকে সোমবার। রাত নটা নাগাদ পরিবারের লোককে জানানো হয় তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই পরিবারের লোকজন চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন।
এছাড়া ওই হাসপাতালেই রবিবার রাতে ১০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিভিয়ার নিউমোনিয়া ছিল তার। ২৫ ফেব্রুয়ারি অ্যাডিনোভাইরাস পজিটিভ ধরা পরে। রবিবার রাতে আইসিএইচ-এ আনা হয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
বেসরকারি সূত্রে খবর, জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে গত ১০ দিনে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তথ্য আরও বলছে, জানুয়ারি থেকে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে সংখ্যাটা ১০১। এরই সঙ্গে যুক্ত হল আরও দুই শিশুর মৃত্যু। তবে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মমতা দাবি করেছেন, এখনও অবধি ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুর কারণ অ্যাডিনো ভাইরাস। ১৩ জনের শরীরে কোমর্বিডিটি ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।