Weather: আরও ১০ দিন ‘শীতঘুমে’ শীত! নতুন বছরের শুরুতে কি বাংলায় বৃষ্টিও?

Weather: আলিপুর আবহাওয়া দফতর এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। তবে মৌসম ভবনের গাণিতিক মডেল বলছে, ৪ জানুয়ারি নাগাদ বাংলাতেও বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি হোক বা না হোক, একটা বিষয় স্পষ্ট, জানুয়ারির প্রথম ৪-৫ দিন পর্যন্ত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে। আর ঝঞ্ঝা থাকাকালীন উত্তুরে-পশ্চিমী বাতাসের জোগানও কম থাকবে। বাড়বাড়ন্ত থাকবে জলীয় বাষ্পের। নিটফল, ঠান্ডা পড়বে না, পারদ নামার সুযোগও পাবে না।

Weather: আরও ১০ দিন ‘শীতঘুমে’ শীত! নতুন বছরের শুরুতে কি বাংলায় বৃষ্টিও?
শীতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2023 | 9:37 PM

ভরা বৈশাখে রবি ঠাকুরের জন্মদিন। প্রতিবারই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করতে গিয়ে ঘেমেনেয়ে কাদা হয়ে যায় বাঙালি। তাই বলে যিশুর জন্মদিনেও ঘামতে হবে! সোমবার যাঁরাই ভুল করে শীতের পোশাক চাপিয়ে বেরিয়েছিলেন, তাঁরাই নাকাল হলেন। শরীরকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই! যত দোষ প্রকৃতির। আবহাওয়া দফতরও বিন্দুমাত্র আশা দেখাচ্ছে না। আগামী ১০ দিনেও ‘শীতঘুমে’ থাকবে শীত। বর্ষশেষ, বর্ষবরণ, এমনকী নতুন বছরের প্রথম কয়েকদিনেও ঠান্ডা ফেরার সম্ভাবনা নেই। বরং, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিতেও ভিজতে পারে বাংলা।

ভরা পৌষে শীতের এমন দুরবস্থা কেন?

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, ‘‘বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকায় বঙ্গোপসাগর থেকে পুবালি বাতাস আমাদের রাজ্যে ঢুকছে। ফলে পশ্চিমী বাতাস সে ভাবে ঢুকতে পারছে না। তাই একটানা অনেক দিন রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে রয়েছে।’’ রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছিল। সোমবার তাপমাত্রা একটু কমে ১৬.৯ ডিগ্রিতে থিতু হয়। তাতেও রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলল ২০২৩। আলিপুরের পরিসংখ্যান বলছে, এ বার আট বছরের মধ্যে তৃতীয় ‘উষ্ণতম’ বড়দিন প্রাপ্তি হল কলকাতার। শীর্ষে ২০২২। গত বছর বড়দিনে আলিপুরের তাপমাত্রা ছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় ২০১৬। সে বার তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঠান্ডা কবে ফিরবে?

কোনও আশা দেখাচ্ছেন না গণেশবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতার তাপমাত্রা আপাতত ১৬-১৭ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। জেলার তাপমাত্রা থাকবে ১৩-১৪ ডিগ্রির আশপাশে। খুব একটা ঠান্ডা পড়ার আশা নেই।’’ কেন নেই? কারণ, কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হাজির হতে চলেছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ২৯ ডিসেম্বর নাগাদ কাশ্মীরে নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে শুরু করবে। এর প্রভাবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে দেশের সমতলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। জানুয়ারির প্রথম কয়েকদিনে বৃষ্টি হতে পারে মধ্য ভারত, এমনকী পূর্ব ভারতেও।

বাংলাতেও কি বৃষ্টি হতে পারে?

আলিপুর আবহাওয়া দফতর এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। তবে মৌসম ভবনের গাণিতিক মডেল বলছে, ৪ জানুয়ারি নাগাদ বাংলাতেও বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি হোক বা না হোক, একটা বিষয় স্পষ্ট, জানুয়ারির প্রথম ৪-৫ দিন পর্যন্ত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে। আর ঝঞ্ঝা থাকাকালীন উত্তুরে-পশ্চিমী বাতাসের জোগানও কম থাকবে। বাড়বাড়ন্ত থাকবে জলীয় বাষ্পের। নিটফল, ঠান্ডা পড়বে না, পারদ নামার সুযোগও পাবে না।

ঝঞ্ঝা সরলে কি জাঁকিয়ে শীত পড়বে? মিলিয়ান ডলার প্রশ্ন। উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।