Calcutta High Court: ‘আদালত এগুলি মেনে নেবে না, এভাবে আদালত সম্পর্কে বলা যায় না’, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: গত ২৫ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট তলব করেন। সেখানে বলেন, শিক্ষা দফতরের কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে রাজ্যকে। ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে এই মুহূর্তে শোরগোল গোটা রাজ্যে। এরইমধ্যে রাজ্যের জমা দেওয়া একটি হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষা দফতর একটি হলফনামা দিয়ে জানায়, ১৮ হাজারেরও বেশি চাকরি রয়েছে রাজ্যে। মোট ২১ হাজার ৬৯৪ শূন্যপদ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। জুন মাস পর্যন্ত ১৩ হাজার ৮০০ পদ রয়েছে মাধ্যমিকে, ৫ হাজার ৫২৭ পদ রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে। প্রাথমিকে আগে থেকে ৩ হাজার ৯৩৬ শূন্যপদ থাকলেও বোর্ড কোনও প্রক্রিয়া শুরু করেনি।
কিন্তু প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, কেন তা শুরু করা যাচ্ছে না, তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষা দফতরকে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে বলেন তিনি। আগামী ১৭ অগস্টের মধ্যে তা জানাতে বলেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন বিচারপতি বলেন, কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এই ধরনের মন্তব্য করছেন। বলছেন, আদালতের জন্য চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। আদালত এগুলি মেনে নেবে না। এভাবে আদালত সম্পর্কে বলা যায় না।
গত ২৫ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট তলব করেন। সেখানে বলেন, শিক্ষা দফতরের কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে রাজ্যকে। ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
সেদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, ‘১৮ হাজার চাকরি রয়েছে নাকি? বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনছি। মামলা চলার জন্য সেগুলি দেওয়া যাচ্ছে না শুনছি।’ এরপরই সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কত পদ খালি, কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এদিন সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় হলফনামা দিয়ে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন। এরপরই বিচারপতি জানতে চান, কী কারণে প্রাথমিকের নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না, তা জানাতে হবে। ১৭ অগস্টের মধ্যে তা জানাতে হবে।