Babita Sarkar: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা

Calcutta High Court: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা।

Babita Sarkar: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা
ববিতা সরকার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2023 | 4:02 PM

কলকাতা: চাকরি ফেরত চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন ববিতা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা করার অনুমতি চান তাঁর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সেই মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি তালুকদার। গত মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন যাতে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করা হয়। ববিতার সেই চাকরি পান অনামিকা রায় নামে মামলাকারী। এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা।

ববিতা সরকারের বক্তব্য, ৫ শতাংশ ছাড় পাওয়ার কথা তাঁর। এ বিষয়ে তিনি তাঁর ক্যাটাগরির কথা তুলে ধরেছেন। এখন তা আদৌ ডিভিশন বেঞ্চে গ্রাহ্য হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে। কারণ অনামিকা রায়ের বক্তব্য রয়েছে, এই নম্বরের রিলাক্সেশন বা ছাড়ের আওতায় তিনিও পড়েন। সেক্ষেত্রে অনামিকাও আদালতে তুলে ধরবেন তাঁর দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য। পাল্টা ববিতাও নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তথ্য় তুলে ধরবেন নতুন করে। একইসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নও ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে, দীর্ঘ সময় ববিতার মামলার শুনানি চলেছে।  সেই সময় কেন অনামিকা আদালতে আসেননি? তবে এবার ডিভিশন বেঞ্চই ঠিক করবে ববিতা তাঁর চাকরি আবারও ফিরে পাবেন কি না।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ বেআইনি বলে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁর চাকরি মন্ত্রী কন্যা ক্ষমতার বলে দখল করেছে। আদালতে ববিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় অঙ্কিতার। গত ২৪ জুলাইয়ের ঘটনা। কোর্টের নির্দেশেই সেই জায়গায় চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার চাকরি জীবনের বেতনের টাকাও ফেরত দিতে বলা হয়েছিল, যে টাকা ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৪৩ মাসের বেতন ছিল সেটা।

ববিতা চাকরি পান, আর তারপরই তাঁর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই পদের তৃতীয় দাবিদার অনামিকা রায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ নয়। অথচ তিনি ৬০ শতাংশ লেখেন ফর্মে। যে কারণে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে যায়। অথচ তেমনটা হওয়ার কথা নয়। ববিতার থেকে নম্বর বেশি অনামিকার। শুরু হয় সেই মামলার শুনানি। গত মঙ্গলবার ১৬ মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি যায় ববিতার। অনামিকা সে চাকরি পাচ্ছেন। তবে এরই মাঝে চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা।