ED Arrest: ইডির হাতে গ্রেফতার কুন্তল-ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়
ED: এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ শান্তনু হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। শুক্রবার শান্তনুকে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শান্তনুর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যেত বলেই খবর। তাঁর হুগলির বলাগড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ডও। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। এরপরই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। আয় ও ব্যয়ের হিসাবের অসঙ্গতি রয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। এদিন শান্তনুর আয়-ব্যয়ের হিসাবের নথি নিয়ে দেখা করতে বলেছিল ইডি। সঙ্গে কুন্তলের সঙ্গে কার কার টাকার লেনদেন হয়েছে, অভিনয় জগতেও কুন্তলের পরিচিতি কতটা, সেসব জানতে চেয়ে এদিন শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
কুন্তল হুগলির তৃণমূল যুবনেতা। বছর ৪০-এর শান্তনুও এই জেলারই তৃণমূল যুবনেতা। সঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। তাঁর বলাগড়ের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। গত জানুয়ারির ২০ তারিখে বলাগড়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড ও ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছিল। ৬-৭ বার ইডি তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও পাঠায়।
শুক্রবারও সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। তার বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায়ই তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হবে। ইতিমধ্যেই শান্তনুকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের সঙ্গে নাকি শান্তনুর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তাপস-শান্তনু-কুন্তলের একাধিকবার দীর্ঘ বৈঠকও হয় বলেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তাপসের বয়ানে কুন্তলের ‘দাদা’ শান্তনু।
ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ চড় চড়িয়ে বেড়েছে। বেড়েছে ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও। এই যুবনেতা প্রথমে হুগলির জিরাট কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। এরপর ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হয়ে ওঠেন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্ব সামলেছিলেন কিছুদিন। এরপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পান। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
শান্তনুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিরাট শিকড় চারদিকে ছড়িয়ে আছে, এখন সেইগুলো গোটানো হচ্ছে। অপেক্ষা করুন অনেক কিছু তথ্য আসবে। কোন দিকে যাবে বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দিকেই যাবে। তবে এক যুগ ধরে যে দুর্নীতি চলেছে সেটা শেষ হওয়ার দরকার আছে।”