Madhyamik 2023: মাধ্যমিকে গ্রাফ পেপার না পেয়ে হাউ হাউ করে কান্না পরীক্ষার্থীদের, নিন্দায় সবর শিক্ষামহল
MadhyaSikhha Parshad: যদিও এর দায় নিতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারা বৃহস্পতিবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে গ্রাফ এঁকে নিতে হবে বলে আগেই ডিআই ও ভেন্যু ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: মাধ্যমিকের গ্রাফ পেপার নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠল এবার। বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। অভিযোগ এদিন গ্রাফ পেপারই পৌঁছয়নি একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে। এদিকে প্রশ্নপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। গ্রাফ পেপার না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু পরীক্ষার্থী। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এমন পরিস্থিতি হবে ভাবতেই পারছেন না পরীক্ষার্থীরা। যদিও এর দায় নিতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারা বৃহস্পতিবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে গ্রাফ এঁকে নিতে হবে বলে আগেই ডিআই ও ভেন্যু ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পর্ষদের প্রশ্ন, গ্রাফ পেপার যে এতটাই আবশ্যক, তা কেন প্রশ্নকর্তা জানাননি? গ্রাফ পেপার না থাকলেও উত্তরপত্রের মূল্যায়নে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে পর্ষদ। একইসঙ্গে ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি গ্রাফ পেপার সরবরাহ না-ই করা হবে, তাহলে প্রশ্নপত্রে কেন গ্রাফ পেপার দেওয়ার কথা লেখা ছিল? অন্যদিকে প্রশ্নকর্তা তো পর্ষদের বাইরের লোক নন। তাহলে কোথাও কি ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ থেকে গেল? ৪ নম্বরের প্রশ্ন নিয়ে কেন এতটা হেলাফেলা, উঠছে সে প্রশ্নও। শিক্ষাবিদদের একাংশ বলছেন, এভাবে প্রশ্নকর্তা বা ভেন্যু ইনচার্জের উপর দায় ঠেলে পর্ষদ কখনওই দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকারের কথায়, “পরীক্ষার্থীকে গ্রাফ পেপার দেওয়াটা দায়িত্ব। তাই এভাবে একটা ইমেল করে দায় সারা যায় না। প্রত্যেকটা ভেন্যুতে এ খবর আলাদা করে থাকা দরকার। এখানে যে প্রস্তুতির অভাব রয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীরা যদি খাতায় স্কেল দিয়ে দাগ টেনে এটা করতে যায়, তাহলে তাতে ‘পারফেকশন’ না আসাটা প্রত্যাশিত। তার প্রভাব যেন কোনও পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে না পড়ে।
অন্যদিকে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় পৌঁছেছে, কোন চরম অবস্থা চলছে, তারই একটা প্রমাণ। গ্রাফের প্রশ্ন হল, কিন্তু গ্রাফ পেপার পৌঁছল না। এটা তো ভয়ঙ্কর অবহেলার ব্যাপার এবং উদাসীনতার ব্যাপার। শিক্ষা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ব্যগ্রতা থাকলে এটা হতে পারে না। শিক্ষা প্রশাসন কোন তলানিতে পৌঁছেছে, এটা তারই প্রমাণ।”
অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “স্কুলে যে শিক্ষা ব্যবস্থা, সেটাকে ধ্বংস করার মতো একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ গ্রাফ পেপারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু স্কুলে শিক্ষক, পরিকাঠামো প্রয়োজন। সেগুলোকেও নজরে রাখা হচ্ছে না।”
প্রধান শিক্ষক সংগঠনের চন্দন মাইতি বলেন, “প্রশ্নে বলা হচ্ছে গ্রাফ পেপার দেবে। আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হঠাৎ একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল। গোটা বিষয়টায় একটা কোঅর্ডিনেশনের অভাব হচ্ছে। এখন প্রশ্ন করেন যাঁরা, মনে হয় যেন নিজেদের পাণ্ডিত্য ফলাচ্ছেন। বারবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বলেছি, এটা ঠিক হচ্ছে না।”





